রাঙ্গাবালীতে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষ আহত ২

রফিকুল ইসলাম ঃ
রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির দু-পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ফারুক হাওলাদার (৬০) সাবু মুন্সী (৩২) এ বিষয় যানতে চাইলে ফারুক হাওলাদার বলেন আমাদের চারাগাছ সাবুর ছাগলে খেয়ে ফেললে আমার ছেলে আরিফ ও নাঈম সাবুকে বলে, তোমার ছাগলে আমাদের গাছ খেয়ে ফেলছে দয়াকরে ছাগল বেধে রাখেন, উত্তরে সাবু বলে ছাগল বাধবে না, প্রতিউত্তরে আরিফ বলেন ছাগলের ঠ্যাং ভেংঙ্গে ফেলব এই কথার উপরে কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে সাবু লাঠি দিয়ে আঘাত করে আরিফের হাতে ও ফারুক হাওলাদারের মাথায় লাগে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়, এই পরিস্থিতিতে আরিফ ও নাঈম সাবুকে মারধরের চেষ্টা করে সাবু একটি গাছের শিকরের উপরে পরে যায় এতে সাবুর পিঠে মেরুদন্ডে আঘাত লাগে। এ বিষয়ে যানতে চাইলে সাবু বলেন আমার ছাগলে নাকি ওদের গাছ খেয়েছে সে জন্য ওরা তিনজনে মিলে আমাকে ইচ্ছে মত মারধর করছে আমার মেরুদন্ডে বাড়ি মারছে আমি একা ওদের তিনজনের সাথে পারিনি আমাকে আহত অবস্থায় কে যেন বাড়ি নিয়া আসছে। ঘটনার সমায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্ষী আসাদ বলেন, প্রথমে সাবুর ছাগলে আরিফের গাছ খেয়ে ফেলে আরিফও নাঈম সাবুকে ডেকে বলে তোমার ছাগল বেধে রাখ সাবু বলেন ছাগল বেধে রাখতে পারব না তুই পারলে কিছু কর, তোমাদের ছাগলেও আমার আম,কাঠাল গাছ খায় তাতে তো আমি কিছু বলিনা, উত্তরে আরিফ বলে ছাগল না বাধলে ছাগলের ঠ্যাং ভেঙ্গে ফেলব এতে তর্ক-বির্তক শুরু সাবু লাঠি দিয়ে এলোপাথারী বাড়ি শুরু করেন এতে ঘটনাস্থলেই ফারুক হাওলাদারের মাথায় আঘাত লাগে এবং আরিফ ও নাঈমের গায়ে আঘাত লাগে কিছুক্ষণ পরে সাবুর শশুর নাসির সিকদার এসে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে ফারুক হাওলাদারের পরিবারের উপর চড়াও হয় একপর্যায়ে নাসির সিকদারকে স্থানীয় লোকজনে সরিয়ে নিয়ে যায়।
সংঘর্ষ শেষ পর্যায়ে সাবুর ২ ভাই বাবু মুন্সী,হেমায়েত মুন্সী ও ভাতিজা ইমরান লাঠিশোটা নিয়ে দৌড়ে এসে ফারুক হাওলাদারের পরিবারের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে দু-পক্ষের দুজনই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *