নীলফামারী জেল কর্তৃপক্ষের নির্যাতনে কয়েদির আত্মহত্যা চেষ্টা

মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কারাগারে দুলাল নামে কয়েদি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ।বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই দিনগত মধ্যরাতে নীলফামারী জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
তাকে কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ হেফাজতে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী হাজতির নাম দুলাল হোসেন। তিনি সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর কিসামত মিল বাজার এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
মাদকসহ তিনটি মামলায় ২০১৯ সাল থেকে নীলফামারী কারাগারে আছেন দুলাল হোসেন। এরই মধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
হাজতি দুলাল হোসেনের অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে কারাভোগের সময় বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করলে কারাগারের দায়িত্বরত তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করেন কারাগারের জেলার আবু নূর মো. রেজা, কারারক্ষী আনছারুল ও ডেপুটি জেলার মো. ফেরদৌসসহ আরও কয়েকজন। নির্যাতনের একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুলাল। পরে একটু স্বাভাবিক হলে নির্যাতন থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার আবু নূর মো. রেজা বলেন, হাজতি দুলাল অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।তিনি আরও বলেন, এর আগেও এপ্রিলে অসুস্থতা নিয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হন দুলাল হোসেন। সেখানেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। চিকিৎসক বলেছেন, তার আত্মহত্যার প্রবণতা আছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জুলফিকার আলী নবাব বলেন, ব্যাক পেইন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুলাল হোসেনকে। হাসপাতালে আসার পর তিনি ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাকে মেডিকেল কলেজে পাঠাতে চাইলে রোগী অস্বীকৃতি জানান। বর্তমানে তিনি এখানেই চিকিৎসাধীন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *