স্লিপ থাকলেও চাল মেলেনি ; পাইকগাছায় ঈদুল আযহায় ভিজিএ’র চাল বি তরা অভিযোগ করল ইউএনও’র কাছে

পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছায় ঈদুল আযহায় গরীবদের স্লিপ দিয়ে ভিজিএফ’র চাল বি ত করার ঘটনায় মানববন্ধনের পর এবার লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ৪ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে গদাইপুর ইউপি’র সরকারী চাল থেকে বি তরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, বিদায়ী ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে প্রতিবারের ন্যায় এবারো ১টি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ হয়। সে অনুযায়ী গদাইপুর ইউনিয়নে গরীব মানুষের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের জন্য ১৮৩১ টি কার্ড বরাদ্দ হয়। গত ২৭ জুন ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদুজ্জামান ও ও পরিষদ সচিব মুহাঃ বেলাল হুসাইনের নেতৃত্বে চাল বিতরন করা হয়। জানাগেছে, চাল বিতরনের পুর্বে ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে প্রত্যেক কার্ডধারী ব্যক্তিদের স্লিপ দেয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমাদের স্লিপ দেয়া হলেও প্রায় ২শ স্লিপধারী গরীব মানুষ চাল বি ত হয়ে বাড়ী ফিরে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ওজনে কম দিয়ে ৭/৮ কেজি চাল দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করলে সর্বত্র বিরুপ প্রভাব পড়ে। সর্বশেষ চাল বি ত চেঁচুয়া গ্রামের নূরআলী দপ্তরী,বাবুল গাজী,জামিরুল গাজী,শাহদাৎ গাজীসহ শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে অভিযোগ করেছেন।এ বিষয়ে গদাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক নির্মল অধিকারী জানান,চাউল বি তরা আমার কাছে এসে স্লিপ থাকলেও চাল দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান ও সচিব বেলাল এসে আমাকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি চাউল বি ত ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে প্রতিজনকে ৫ কেজি করে চাউল দেওয়ার প্রস্তাব করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব এ শর্তে রাজী হয়নি। এ অভিযোগ সমর্কে মোবাইলে জানতে চাইলে গদাইপুর ইউপি সচিব মুহাঃ বেল্লাল হুসাইন বলেন,গত ২৭ জুলাই ১ দিনে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়। স্লিপধারীরা হাজির না হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে এ চাল দেওয়া হয়। কিন্তু পরেরদিন অর্থাৎ ২৮ জুলাই স্লিপধারীরা পরিষদে এসে চাল দাবি করলে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদুজ্জামান বলেন,চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। কিন্ত স্লিপের চাল গেল কোথায় এ সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, তদন্ত করে অভিযোগের বিষয়টি প্রমানিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রেরকঃ
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *