বাবুল হোসেন ,পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগ রানা (১৮) নামে এক তরুন। এ সময় তার স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে নিজ ঘরে ফাঁস দেন তিনি। সোহাগ রানা পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। সে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সরকার পাড়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। পঞ্চগড় সদর উপজলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নর সরকারপাড়া গ্রামে গতকাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে চিরকুট এবং ওড়না উদ্ধার করে। পরে গতকাল রাতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মৃতের চাচা নাজমুল হাসান বিপ্লব জানান গত আট মাস পূর্বে সোহাগ রানার সাথে হাড়িভাষা এলাকার মহচিনা নামে তরুনীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের দু মাস পর থেকেই সোহাগের স্ত্রী পায়ে ব্যথা হয়। রংপুর মডিক্যালসহ কয়েকটি ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া হয়। তবুও কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ব্যাথা দূর না হওয়ায় গত ১২ দিন পূর্বে মহচিনা বাপের বাড়ি চলে যায়। সোহাগ গত ১৮ জুন স্ত্রীকে বাসায় নিতে শ্বশুর বাড়ি যায় । সেখানে সোহাগ দেখতে পায় স্ত্রী মহচিনা সুস্থ আছে। পরে তাকে নিয়ে আসতে চাইলে পরিবার বাধাঁ দেয় । এনিয়ে সোহাগ শ্বশুরবাড়িতে মহচিনার ভাই এবং চাচা শ্বশুর মতিউরের মারধরের শিকার হয়। স্ত্রী মহচিনাকে না নিয়ে সোহাগ বাসায় ফিরে আসে। গতকাল বিকেলে ঘুমানোর কথা বলে নিজর ঘরে চিরকুট লিখে আতহত্যা করেন । সোহাগের পরিবার থেকে বলেন সোমবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের পর আমরা মামলা করার পরিকল্পনা করছি।
এদিকে উদ্ধার হওয়া চিরকুট সোহাগ তার মত্যুর জন্য চাচা শ্বশুর মতিউরকে মত্যুর জন্য দায়ী করেন। আদালত যেন মতিউরকে ফাঁসি দেন । এছাড়াও স্ত্রীকে জীবনের থেকেও বেশি ভালবাসেন সোহাগ। তার স্ত্রী পাঁচ মাসর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জন্মর পর তার সন্তানকে যেন হাফেজ মাওলানা বানানোর নির্দেশ দেন স্ত্রী মহচিনাকে। চিরকুটের শেষে আল্লাহ তুমি আমাক মাফ করে দিও বলেও চিরকুটে লিখে যায় সোহাগ।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক সামসুজ্জোহা জানান সরকারপাড়া গ্রাম থেকে সোহাগ রানা নামর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply