বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃরংপুর বিভাগের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের ফলজ বনজ ঔষধি ও ফুলের চারা রোপণ করা হবে।

বুধবার ২২ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন (এমপি) কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মজাইডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ রোপণ করে গাছ রোপণ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগীয় উপ পরিচালক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ্ সরকার প্রমুখ।

কুড়িগ্রামের পাঁচটি উপজেলার ১২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত পাঁচটি করে গাছের চারা রোপণ করা হয়। জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, বিদ্যালয়সহ জেলা ও উপজেলা অফিসে গাছ লাগানো হয়েছে।

রংপুর জেলায় তিন ঘণ্টায় ১০ হাজার গাছের চারা লাগিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় চত্বরে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার সাহাজাহান সিদ্দিক। তিনি নয়া দিগন্তকে জানান, সাড়ে চোদ্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রতিটি উপজেলা অফিসে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার নয়া দিগন্তকে জানান, ছয়টি উপজেলার ১০৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একযোগে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ১ হাজারটি বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রকিবুল হাসান।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তাদের বিভিন্ন কার্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রায় ৭ হাজার বৃক্ষ রোপণ করেছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, জেলার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ লাগানো হয়।

পঞ্চগড়ে এক ঘণ্টায় ৫ হাজার গাছের চারা লাগিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যরা।

রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের শুদ্ধাচার পুরস্কার পদক প্রাপ্ত উপ পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, যে সকল অফিসে বা বিদ্যালয়ে জায়গা নেই তারা বিদ্যালয়ের বারান্দায় টবে গাছ লাগাতে পারে। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *