বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতাকে পর্নোগ্রাফি মামলায় আটক করেন ডিবি’ পুলিশ

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ঃপর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বহিষ্কৃত এক যুবলীগ নেতাকে। গ্রেফতারকৃত ওই যুবলীগ নেতার নাম মনোয়ার হোসেন মিন্টু। সে চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মিন্টুকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় মিন্টুকে গ্রেফতার করে।

মামলাটি পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিকট হস্তান্তর করা হয়। সেই মামলায় ডিবি’র উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান গতকাল সোমবার মিন্টুকে গ্রেফতার করেন।

দেবীগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩ জুন (শনিবার) দেবীগঞ্জ থানায় রুনা লায়লা নামে এক নারী তার মেয়ের অশ্লীল ছবি ভাউলাগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে ও কম্পিউটারে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে এজাহার দায়ের করেন। ওইদিনই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এজাহারটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। যার মামলা নং-৮৫।

এর আগে বিয়ের কথা বলে কোর্টে অ্যাফিডেভিট করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা মুঠোফোনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মেয়েটি গত বছর ০৯ সেপ্টেম্বর বোদা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মিন্টু এখন জামিনে আছেন। সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মনোয়ার হোসেন মিন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই সাথে বহিষ্কারের দিন থেকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশনাও দেওয়া হয় মিন্টুকে।

ভুক্তভোগী তরুণী গণমাধ্যমকে জানান, আসামী মানোয়ার হোসেন মিন্টু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিডিও ধারণ করেছেন।
ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে আসছেন এবংকি ইতোমধ্যে বিভিন্ন কম্পিউটার ও মোবাইলে আমার অশ্লীল ছবি ছাড়িয়ে দিয়েছেন ফলশ্রুতিতে আমি লোকসমাজে মুখ দেখাতে পাড়ছি না।
ভুক্তভোগীর মা রুনা লায়লা বলেন, মানোয়ার হোসেন মিন্টু আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং ক্ষমতার হুমকি দিয়ে আসছেন।
গতকাল ডিবি তাকে গ্রেফতার করেছে আমি ও আমার পরিবার চাই তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

অভিযোগ উঠেছে, গুরুতর অভিযোগের পর বহিষ্কৃত হলেও আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের দলীয় প্রোগ্রামে নিয়মিত মুখ মনোয়ার হোসেন মিন্টু। সব পর্যায়ের নেতাদের সাথে এখনো রয়েছে আগের মতো সখ্যতা। সর্বশেষ গত রবিবার (১৯ জুন) দেবীগঞ্জে যুবলীগের শান্তি সমাবেশে নেতা-কর্মীদের সাথে সামনের আসনে দেখা মিলে মিন্টুর।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *