May 9, 2025, 9:07 pm
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবেনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ও অনাবাদী পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার নিমিত্তে সরেজমিনে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ব্যাতীত পতিত থাকা অনাবাদি জমির খোজ নিতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এসব অনাবাদী জায়গায় জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ও সাথে সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যতিত অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মিজাবে রহমত। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনাবাদি মাঠে গাছের চারা রোপন করার মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোকে সবুজ পাঠশালা করার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবেনা” বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উদ্যোগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে উপজেলাধীন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলাধুলার মাঠ ব্যতিত অবশিষ্ট অব্যবহৃত জায়গায় সবজি চাষ ও ফল বাগান করণের জন্য গাছের চারা, বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে উপজেলার ০৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে উপকরণসমূহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত, সহকারী কমিশনার ভূমি ফাহমিদা সুলতানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন, শিক্ষা অফিসার জীবন আরা বেগম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, দপ্তর প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজাবে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুরা ফুল বাগান ও সবজি চাষের সাথে শৈশব থেকে পরিচিত হলে আগামী দিনেও তারা তাদের ব্যক্তি জীবনেও এ চর্চা অব্যহত রাখবে। বৈশ্বিক সংকটেও আমাদের খাদ্যে সমস্যা হবে না। পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও উক্ত অনুশীলন ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। বক্তারা আরও বলেন, চাষযোগ্য জমি অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। জমির শ্রেণি অনুযায়ী ফসল উৎপাদন করতে হবে। কোনো কৃষি জমি পরপর ৩ বছর অনাবাদী থাকলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিধান রয়েছে। দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না। এ সংক্রান্ত আদেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পুরো উপজেলায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।