টেন্ডার ছাড়াই আটোয়ারীতে গাছ কাটলেন এ যেন মগের মুলুক

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার দুধারে গাছ কাটার ধুম পরেছে। দেখেও না দেখার ভান করছে অনেকে। চোঁখের সামনে থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেউ বলছেনা কারো নাম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ২নং তোড়িয়া ইউনিয়নের কাটালিপাড়াসহ বিভিন্ন কাচা ও পাকা রাস্তার পাশে লাগানো পুরনো আকাশমণি এবং ইউক্যালেপ্টর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গাছ কেটে নেওয়াতে এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় কাটালিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার কাচা রাস্তার পাশে লাগানো আকাশমণি গাছ গুলো বেশ মোটা এবং পুরাতন।রাস্তার দুই ধারে এই গাছ গুলি টেন্ডার ছাড়াই কাটা হয়েছে।কখন গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলাই যাচ্ছেনা।
এদিকে ওই এলাকার হাফেজ আলী বলেন এই কাচা রাস্তার দিয়ে আমরা সব সময় চলাফেরা করি কোনদিন দেখিনাই রাস্তার দুইধারে আকাশমণি ইউক্যালেপ্টর গাছ কাটা হয়েছে।কয়েকদিন থেকে দেখি টেন্ডার হয় নাই অথচ রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে নিয়ে গেছে তবে এই গাছ কে কেটে নিয়ে গেছে যেহেতু দেখি নাই তাই বলা যাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই এলাকার তিনি জানায় এই আকাশমণি গাছ যে কেটেছে আমি তাদের নাম জানি তবে তাদের নাম আমি বলতে পারবনা।আমি তাদের নাম বলে দিলে আমার ক্ষতি করবে তারা।
এদিকে তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং-ওয়াডের ইউপি সদস্য আজিজার রহমান বলেন,সম্প্রতি ঝড়ে একটি আকাশমণি গাছ পড়ে যায় রাস্তার পাশে। এই আকাশমনি গাছটি কেটে নেয়ার পরে দেখা যায়,কাটালিপাড়াসহ আসেপাশের কাচা রাস্তার দুধারে যেখানে সেখানে ভাল ভাল আকাশমণি ও ইউক্যালেপ্টর প্রায় ৩০-৩২টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
আমি দেখার পরে সাথে সাথে আমার চেয়ারম্যানকে ফোন দেই এবং গাছ কেটে নেয়ার বিষয় গুলো বলি।আমাকে চেয়ারম্যান বলে রাস্তার পাশে যে গাছটি ঝড়ে পরে গেছে সেই গাছের কথা আমি ইউএনও মহোদ্বয়কে যানাই।তিনি আমাকে বলে যেহেতেু গাছটি ঝড়ে পরে গেছে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য গাছটি কেটে নেয়ার কথা বলে।আমি সেই গাছ ছাড়া অন্য কোন গাছ কাটার বিষয় জানি না।
ইউপি সদস্য আরো জানায় এই রাস্তার গাছ যে কেটেছে তাকে বের করার জন্য আমি বেশ কিছুদিন ধরে সন্ধান করার এক পর্যায়ে অনেকের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম আমাদের ৯নং ওয়াডের ইউপি সদস্য কফিলউদ্দীন এই গাছ গুলি কেটেছে।আমি এই গাছ কাটার বিষয় নিয়ে তার সাথে আলোচনা করলে সে আমাকে ওই বিক্রি করা গাছের ৫ হাজার থেকে ৬হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে।আরো বলে এই নিয়ে যেন কাউকে এসব কথা না বলি।তিনি জানায় এই আকাশমণি ৩০টি গাছের বাজার মূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দাম হবে।
এনিয়ে ইউপি সদস্য মো: কফিলউদ্দীন জানায় কয়েকদিন থেকে আমিও শুনতেছি বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে গেছে।আমার নামে যে ইউপি সদস্য বলেছে আমি গাছ কেটে বিক্রি করেছি এবং টাকা দিতে চেয়েছি এ কথা তিনি মিথ্যা বলেছে।আমি কোন গাছ কেটে বিক্রি করি নাই।
এব্যাপারে ২নং তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ তিনি জানান,ঝড়ে একটি গাছ পড়ে গেলে ইউএনও মহদয়ের নিদের্শে একটি গাছ কাটা হয়। তিনি আরো বলেন,একটি গাছ বাদে পরিষদের কোন সদস্য যদি গাছ কেটে থাকে তার দ্বায়ভার তাকে নিতে হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *