গোদাগাড়ী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

হায়দার আলী,
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি নেসকোর নিবার্হী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
নতুন সংযোগ নেয়ার জন্য জমির দলিলের মূলকপি ও খতিয়ানের মূলকপি চাচ্ছেন । না দিতে পারলে উৎকোচের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেসকোর অন্য কোন অফিসে এ নিয়ম চালু নেই।

আবাসিক গ্রাহকদের ব্যাধ্যকরে লোডবৃদ্ধি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, ১ কিলোওয়াট লোডবৃদ্ধি করতে ৫০০ এবং ২ কিলোওয়াট লোড বৃদ্ধি করতে ১ হাজার ৩ শ টাকা, ৩ কিলোওয়াট বৃদ্ধি করতে ১ হাজার ৯শ উৎকোচ গ্রহন করা হচ্ছে। না করলে লাইন বিচ্ছিন্ন করা হুমর্কী প্রদান করা হচ্ছে।

গোদাগাড়ী নেসকোর বিদুৎ সরবারাহ কেন্দ্র সুত্রে জানাযায় ড্রাইভার নাহিদ, মিটার রিডার সাদিকুল ডাবলুসহ কয়েকজনকে কর্মচারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে।
মিটার রিডার সাদিকুল ও বিল বিতরণকারি ডাবলুকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাকুরি থেকে এখন বাদ দেয়া হয়েছে। এদের পরিবর্তে মিটার রিডার হিসেবে জিয়া, বাসির, রুবেল, সজলকে নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি এখানে জয়েন্ট করার পর থেকে যেন নেসকো অফিসে কর্মচারিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপ সহকারি প্রকৌশলী আহসানুল্লাহ, ও সাব্বির হোসেনের দাপটে নেসকো পিএলসি গোদাগাড়ীর গ্রাহকগণ নজীরবিহীন হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই।

গত বছরের নভেম্বর মাসে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান আবু রায়হান। এরপর থেকে এই প্রকৌশলী ঠিকঠাকভাবে তার দায়িত্ব পালন না করায় গোদাগাড়ীতে ঘনঘন বিদুৎ বিভ্রাট ঘটে। এতে করে বিদুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ৬-৭ ঘন্টা বিদুৎ থাকে।
নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান আবু রায়হানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান যোগদান করার পর থেকে বিশেষ করে মাগরিব ও এশারের নামাজের সময় বিদুৎ থাকেনা।

পৌর এলাকার বুজরুকপাড়া গ্রামের সৈয়দ সাদরুজ্জামান রন্টু বলেন, ঘনঘন বিদুৎ যাওয়া-আসার কারণে তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের লেখা পড়া করতে পারে না। বিদুতের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে ফোন করলে কাওকে পাওয়া যায় না। নেসকোর গোদাগাড়ী অফিসের একটি সুত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী সকাল ১১ থেকে কোনদিন আবার দুপুর ১২টার দিকে অফিসে আসে। আর ২ টার দিকে চলে যায়।

নতুন বিদুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলে ঘুষ ছাড়া সংযোগ পাওয়া যায় না। গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া মোড়ে সরকারী জায়গায় দোকান রয়েছে বিকাশ চন্দ্র সিংহের। এই দোকান ঘরে নতুন বিদুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলে সরকারী জায়গায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার নিয়ম নেই এই অজুহাত দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চাই। কিন্তু বিকাশ চন্দ্র সিংহ এত টাকা জোগাড় করতে না পাড়ায় তার বিদুৎ সংযোগটি দিচ্ছে না নির্বাহী প্রকৌশলী। অথচ বিকাশ চন্দ্র সিংহ দোকানের পাশে সরকারী জায়গায় বিএনপির দলীয় কার্যলয়সহ হাজারও বেশি বিদুৎ সংযোগ রয়েছে। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) কাছে অভিযোগ করেন বিকাশ চন্দ্র সিংহ।

ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বিকাশ চন্দ্র সিংহকে বিদুৎ সংযোগ দিতে অনুরোধ জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে নেসকোর নিবার্হী প্রকৌশলী আবু রায়হানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মোবাইলে কথা বলতে সেবা দিতে পারিনা অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন, তবে তিনি বলেন, সরকারী জায়গায় বিদুৎ সংযোগ দেয়ার নিয়ম নাই। ঘুষ ও অনিয়মের বিষয়টি সঠিক নয়।

উপ সহকারি প্রকৌশলী সাব্বিরের সাথে এসব অনিয়ম দুনীতির ব্যপারে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকা যাচ্ছি প্রশিক্ষনে এসে কথা বলবো বলে মোবাইল কেটে দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *