May 9, 2025, 2:38 pm
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশীষ কর্মকার।
সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। যে কারণে জনগণ প্রকল্পের উন্নয়ন ও সঠিক বাস্তবায়নে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিক হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন পিআইও আশীষ কর্মকারকে।
এর আগে তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বাহুবল বাসীর প্রসংশার দাবীদার হয়ে গত ২০২২সালের ২২শে এপ্রিল ফুলপুর যোগদান করেন। যোগদানের পর পিআইও শাখাকে তিনি নিজের মত করে ঢেলে সাজিয়েছেন। উদ্যোগ নিয়েছেন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম আর দুর্নীতি দুর করে একটি আধুনিক জনপদ গড়ে তোলার।
তার সততা ও কর্মদক্ষতায় ক্রমান্বয়ে বদলে গেছে পিআইও শাখার প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। কমেছে জনভোগান্তী আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। তিনি প্রতিটি উন্নয়নের কাজকে বাস্তবায়ন করে এ উপজেলাকে উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি প্রতিটি প্রকল্পের কাজ স্ব-শরীরে পরিদর্শন করে সকল প্রকার উন্নয়নকে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তার কার্যালয় সবার জন্য উম্মুক্ত দ্বার হিসেবে পরিণত করেছেন।
তিনি দাপ্তরিক কাজের বাইরে উপজেলার সব প্রান্তে রুটিন কাজের বাইরে কাজ করাসহ দায়িত্বশীলতা, সততা ও মেধা দিয়ে উপজেলার সকল প্রকল্প স্পটে দেখভাল করেন।প্রকল্পের কাজের গুনগত মান নিশ্চিত দেখে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি । কথা বলেন সব শ্রেণীর মানুষের সাথে এবং শোনেন তাদের দুঃখ কষ্টের কথা। নিয়মিত খোঁজ খবর নেন সমাজের অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন সেবা নিজ তত্ত্বাবধানে মানসম্মত করেতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টি-আর, কাবিখা, সোলার প্যানেল ও অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্প গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও ১৪৭ ময়মনসিংহ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল এবং ইউএনও এম সাজ্জাদুল হাসান মহোদয়ের আন্তরিক সমন্বয়ের কারণে উপজেলার মানুষের জন্য সরকারের দেওয়া সবগুলো অনুদানই যাচ্ছে প্রয়োজনীয় স্থানে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাজের প্রশংসা করে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ বলেন, এত ভাল নম্র, ভদ্র পিআইও এ উপজেলায় আগে কখনো দেখিনি। তিনি অসহায় এবং গরীব মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অন্যায় এবং অসৎ বক্তিদের কখনো প্রশ্রয় দেন না। যার কারনে সাধারন মানুষ পিআইওর ওপর আস্থা পেয়েছেন। এক কথায় তিনি একজন সততা ও কর্মদক্ষতার প্রতিক। তিনি একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ।যে কারণে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সকল মানুষের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গল্পের মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশীষ কর্মকার এর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জনগনকে সেবা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ। আমি চেষ্টা করি সরকার যে দায়িত্বটুকু দিয়েছেন তা সঠিক ভাবে পালন করতে।তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা সকলেই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করি তাহলে অবশ্যই সরকারের সকল কাজই জনগণের কল্যানে আসবে।