January 3, 2025, 6:30 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শোষিত নারী চা শ্রমিক

শোষিত নারী চা শ্রমিক

মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
চায়ের ভরা মৌসুমে পারিশ্রমিক মোটামোটি পেলেও বছরের একটা বড় সময় নারী চা শ্রমিকদের দৈনিক মুজুরি দেওয়া হয় ১৫০ টাকা। এখান থেকে একটা অংশ যায় কর্তাদের সন্তুষ্ট করতে। এছাড়া বিভিন্ন সময় শ্রমিক সর্দারকে খুশি করতে দিতে হয় উৎকোচ। অন্যথায় কাজ থেকে দেয়া হয় অব্যহতি। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে শোষনের শিকার হচ্ছেন পঞ্চগড়ের এম. এম টি এষ্টেটের নারী চা শ্রমিকরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি এলাকার এই চা বাগানে কাজ করেন শতাধিক নারী শ্রমিক। তবে এই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেই কারও।
এই শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করেন মো. হানিফা নামের এক ব্যক্তি। শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
তবে এম. এম টি এষ্টেটের প্রভাবশালী এই শ্রমিক সর্দারের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলতে চাননা অসহায় নারী চা শ্রমিকরা। প্রত্যেকেই কর্মহীন হবার অজানা আতঙ্কে। অভ্যন্তরীন বিষয় বাইরে প্রকাশ করলেই তাদের পড়তে হয় তোপের মুখে। কারণ, সর্দার হানিফার সঙ্গে টি এষ্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানার সখ্যতা বেশ।
শ্রমিকদের অভিযোগ- সর্দার হানিফার কথামত না চললেই কাজ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। পূণরায় কাজে আসতে চাইলে তার চাহিদামত দিতে হয় উৎকোচ। তার বিরুদ্ধে ম্যানেজার বরাবর অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। বরং নানান সমস্যার সম্মুখীন হন অভিযোগকারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়ে ১৫০ টাকা মুজুরিতে কাজ করতে হয় আমাদের। সারাদিন কাজ করে এক কেজি সয়াবিন তেল কেনার সামর্থ্য হয়না। আবার এখান থেকে সপ্তাহে ১০০ টাকা করে দিতে হতো তাকে। কিছুদিন থেকে দেইনা- এজন্য আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। অশালিন বাক্যে গালিগালাজও করেন। ম্যানেজারকে জানালে তিনি উল্টো আমাদেরকেই চুপচাপ থাকতে বলেন। আমরা এই হানিফার কাছ থেকে পরিত্রাণ চাই।
তারা বলেন, প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তুলনামূলক পারিশ্রমিক খুবই কম। তারপরও জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হয়। নূন্যতম ২০০ টাকা মুজুরির দাবি করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। বেশি দাবি জানালে কাজ থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
স্থানীয় তরিকুল ইসলাম বলেন, নারী চা শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি। অসহায় এই শ্রমিকদের নিরবে শোষন করা হচ্ছে। এই যুগে শ্রমিকদের এত কম মুজুরি বিরল।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. হানিফা। তিনি বলেন, ‘আমিও সেখানে কাজ করি, শ্রমিকদের কাছ থেকে আমি টাকা নিতে যাবো কেন? যে অভিযোগ গুলো করা হচ্ছে এগুলো ভিত্তিহীন।’
এম. এম টি এষ্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, ‘শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ কোন অভিযোগও করেনি। আর মুজুরি ১৫০ টাকা দেয়া হয় যখন চা বাগানে পাতা থাকেনা তখন। মৌসুম শুরু হলে পাতা তোলার জন্য শ্রমিকদের কেজি প্রতি ৪ টাকা দেয়া হয়। এতে একেকজন দিনে ৪-৫০০ টাকা আয় করে।’
এ বিষয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে একজন শ্রমিকের মুজুরি মাত্র ১৫০ টাকা হতে পারেনা। এটা বাড়ানো উচিত। আর শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD