মোংলায় বৃষ্টির দেখা না মেলায় গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ

মোংলা প্রতিনিধি।
মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির দেখা না মেলায় গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড রোদে কাজে বের হতে পারছেন না দিনমজুররা। শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা মোংলায় রেকর্ড ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেলো ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবেও কোন বৃষ্টিপাত হয়নি মোংলার উপকূলে। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিন ঝড়ো বাতাস ও সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও মূলত তাতে গরম কমেনি। এ এলাকায় মার্চের শেষ ভাগ থেকে চলে আসা তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। এরমধ্যে এপ্রিলে কয়েক দফায় দেশের সবোর্চ্চ ও দ্বিতীয় সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায়। শুক্রবার আবারো দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলাসহ উপকূলে। মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় বিকেলে ও সন্ধ্যায় ঝড়ে বাতাস এবং বজ্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে মোংলাসহ আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় তাপপ্রবাহ বাড়ছে। চলমান তাপপ্রবাহ সচেতন থাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, তাপপ্রবাহে শরীর ঘেমে পানি শূন্যতায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা, তীব্র মাথা ব্যথা ও কিডনির সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে সাম্প্রতিককালে তীব্র মাথা ব্যথা নিয়ে বেশি রোগী আসছেন হাসপাতালে। আর যারা আসছেন তারা মূলত রোদে কাজ করে থাকেন এমন লোকের সংখ্যা বেশি। রোদে কাজ করায় ঘামে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিলে তীব্র মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। রোদে বের হলেও ছাতার ব্যবহার ও প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তাহলেই তাপপ্রবাহের প্রভাব থেকে লোকজন সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *