মোখা মোকাবেলায় মোংলায় প্রস্তুতি সভা, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সতর্কিকরণ প্রচারণা

মোংলা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় মোংলায় প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতনিধি ও এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থা অশং নেয়। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মোংলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়তি নজরদারী রাখছেন স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলায় খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুমও। বাতিল করা হয়েছে সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও। সকল কর্মকর্তাকে তাদের নিজ কর্মস্থলে থেকে বন্টনকৃত দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য মজুদ করা হয়েছে ৩০বস্তা মুড়ি, ২৫বস্তা টোচ, ৩০বস্তা চিড়া ও ১শ কেজি গুড়। রাখা হয়েছে খিচুড়ি রান্না ও বিতরণের প্রস্তুতিও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, মোংলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র দুর্গতদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নজরদারীতে রাখা হয়েছে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষগুলোকে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে তাদেরকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হবে আশ্রয় কেন্দ্রে। এদিকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের (মোংলা) পক্ষ থেকে উপকূলী বাসিন্দা, সাগর ও নদীতে থাকা জেলেদেরকে সতর্কাবস্থায় থাকার জন্য মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোস্ট গার্ডও কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায়। উদ্ধারকারী যানসহ মেডিকেল টিক প্রস্তুত রেখেন কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্মকর্তা লে: কমান্ডার তারেক আহম্মেদ। এছাড়া গভীর সাগরে থাকা কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ মোংলা বন্দর জেটি, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর ঘাটিতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষও খুলেছে কন্ট্রোল রুম। সেই সাথে পৌর এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে খাবারও মজুদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও তাদের নিজস্ব কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সতর্কাবস্থায় অবস্থান ও চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালা চাঁদ সিংহ। তবে এখানকার জনসংখ্যার তুলনায় আশ্রয় কেন্দ্র পর্যাপ্ত না থাকার কারণে লোকজনের মধ্যে জানমালের ভীতি কাজ করছে। এখানে সোয়া দুই লাখ মানুষের বিপরীতে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার সক্ষমতা রয়েছে ৬৮হাজার মানুষের। বাকীদেরকে থাকতে হবে জানমালের ঝুঁকি নিয়ে আশপাশের অন্যান্য পাকা স্থাপনাগুলোতে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *