একটাই স্লোগান, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, কাশেম জিহাদীর ফাঁসি চাই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল বশিকপুর

নাজিম উদ্দিন রানা।
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল বশিকপুর ইউনিয়ন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সদর উপজেলার পোদ্দার বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। বশিকপুর ইউনিয়ন সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সবার মুখে একটাই স্লোগান, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, কাশেম জিহাদীর ফাঁসি চাই। নোমান-রাকিবের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না।

বিক্ষোভ মিছিলটি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পোদ্দার বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকা থেকে শুরু হয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে একত্রিত হয়। এরআগে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে থাকে প্রতিবাদী মানুষগুলো।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ৭ নং বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন। যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামের বাবা রফিক উল্লাহ ও ভাই সাইফুল ইসলাম রুবেলসহ আরো অনেকে।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান যখন বশিকপুরের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখানকার জনগণকে সাথে নিয়ে অপরাধীদের প্রতিহত করছে। বন্ধ করে দিচ্ছে তাদের সকল অপকর্ম। তখনি আবুল কাশের জেহাদী তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নোমানকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় নোমানের সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকেও হত্যা করা হয়েছে।

আরো বলেন, বশিকপুরের মানুষ যেই নোমানকে দিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে, সেই নোমানের খুনি ও গডফাদারের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নোমান-রাকিব হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট বাজার এলাকায় গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পরেরদিন রাতে যুবলীগ নেতার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমা- মঞ্জুর করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *