গোপালগঞ্জে গৃহবধু শান্তা হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মেধাবী ছাত্রী ও গৃহবধু শান্তা ইসলামের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন-১৭ এবং গোবিন্দপুর গ্রামবাসীর এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর বাজারের খান্দারপাড়া-বাথানডাঙ্গা সড়কের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীর পালন করা হয়। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মামনবন্ধন স্থলে গিয়ে জড়ো হন মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধন চলাকালে নিহত শান্তা ইসলামের মা ফিরোজা বেগম, চাচা বাদল ফকির, গোবিন্দপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মুন্সি, সোহাগ শেখ বক্তব্য রাখেন।

নিহত শান্তা ইসলামের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করছে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন। আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে। আমি দ্রুত আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

নিহত শান্তা ইসলামের চাচা বাদল ফকির বলেন, হত্যাকারী স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ও তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। দ্রুত বিচারের জন্য পিবিআই-এর সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো: ওহিদ ফকিরের মেয়ে শান্তা ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় শান্ত ইসলাম অষ্টম শ্রেনীতে পড়ত। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তা ভাকুড়ী গ্রামের শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন।

গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) রিয়াজুল ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। ওই দিনই ইফতারি করার পর শান্তা গলায় ফাঁস দেয় বলে শান্তার স্বামী রিয়াজুল তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের মোবাইল ফোনে জানান। শান্তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *