ডোমারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব – বিপাকে কর্মীরা

মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ:নীলফামারীর ডোমার উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দাবী করছেন দুই নেতা। এতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সংগঠনটি। এতে ক্ষুব্ধ সাধারন কর্মীরা। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি ঘোষনার দাবী করেছেন ।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডোমার উপজেলা শাখার কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদন্দিতা করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম তা গৃহীতও করেন। গত ৩১ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এরমধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছোসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাবেদুল ইসলাম সানবিমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে একটি চিঠি দেয় জেলা স্বেচ্ছোসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কাঙ্খিত সাধারণ সম্পাদক পদ না পেয়ে আব্দুল মালেক সরকার পুনরায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে ফিরতে লবিং শুরু করলে সংগঠনে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ আজাহারুল ইসলাম (টুনু) অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে চলে গেছে। এখন আবার তিনি নিজেকে সভাপতি হিসাবে দাবী করায় সংগঠনে বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাবেদুল ইসলাম সানবিম জানান, মালেক ভাই নয় মাস আগে সভাপতির পদ হতে পদত্যাগ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে যোগদান করেছে। জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দিলে আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি। এখন তিনি পুনরায় সভাপতির পদ ফেরত চেয়ে দলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে আব্দুল মালেক সরকারের সেলফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন ধরেন নি।
জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী জানান, আব্দুল মালেক সরকার পদত্যাগ করায় সহ-সভাপতি জাবেদুল ইসলাম সানবিমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে মালেক সরকার সম্মানজনক একটি বিদায় চাওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অনুষ্ঠানটি তার সভাপতিত্বে করা হয়েছে। বর্তমানে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সানবিম ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম আবুল জানান, বিষয়টি সমাধানে সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ঈদের পর সাত দিনের মধ্যে বিষয়টির সমাধান করবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *