মিজানুর রহমান মিলন,
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরের খরনা ইউনিয়নে অবস্থিত চন্দ্রহাটা নুর আলা নুর বালক বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি আলহাজ¦ রইচ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তার অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি।
১০এপ্রিল সোমবার বিকেলে বগুড়া—নাটোর সড়কের ওমরদিঘী ষ্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধন শেষে ২ শতাধিক নারী, পুরুষ ও কিশোর—কিশোরিরা বিক্ষোভ মিছিলও করে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আব্দুস সোবহান, তহমিনা, রুমানা, আঞ্জুুয়ারা প্রমুখ
সাংবাদিকদের বলেন, ২০০১ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করলেও মাদ্রাসার সভাপতিআলহাজ¦ রইচ উদ্দিন স্থানীয়দের কোন মূল্যায়ন করেন না। এমনকি যারা সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ার
সুযোগ দেয়না। মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়। তারা আরও বলেন, রইচ উদ্দিন ওই এলাকার ৯ বিঘা সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে ২০২১ সালে আদালতে বণ্টন মামলা করেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক জবর দখল করতে যান। প্রতিবাদ করলে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করেন।
শুধু তাই নয়, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে এলাকাবাসির উপর চাপ সৃষ্টি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম
অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অবশেষে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপরদিকে মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ¦ রইচ উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা দাদারা ছিলেন ৩ ভাই, তাদের প্রত্যেকের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ একর ৯৪ শতক। এর মধ্যে পবন প্রামাণিক
নামের ১ জন নি:সন্তান ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির মালিক হন অন্য দুই ভাই কবির প্রামাণিক ও রহিম উল্লাহ্ প্রামাণিক। কিন্তু পবন
প্রামাণিকের সব সম্পত্তি রহিমউল্লাহ্ প্রামাণিকের তার সমুদয় সম্পত্তি রহিমউল্লাহ্’র ছেলেরা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে বগুড়া সিনিয়র সহকারি জেলা জজ আদালতে ৫৩/২১নং বণ্টন মামলা চলমান রয়েছে। মাদ্রাসা থেকে কোন শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়া কিংবা স্থানীয়দের সন্তানকে মাদ্রাসায়
ভর্তি না করার অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
শাজাহানপুরে চন্দ্রহাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতির অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

Leave a Reply