January 15, 2025, 11:13 am
স্টাফ রিপোর্টার নিরেন দাস
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৩ ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক্টরের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট। ধুলোবালিতে হুমকিতে রয়েছে পরিবেশ-জনস্বাস্থ্য। এলাকা ঘুরে জানা গেছে, মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরই, এমনকি জমিতে ফসল থাকা অবস্থায় ফসলি জমির মাটি কেটে ও বিক্রি শুরু করে দেয়া হচ্ছে। আর এ মাটি মেসি, ট্রক্টারে করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। সেই সঙ্গে ভরাট করা হচ্ছে বসতবাড়ি, পুকুর ও ডোবা-নালা। মূলত কৃষিজমির মালিকদের আর্থিক সুবিধার টোপ দিয়ে বাধ্য করে মাটি খেকোরা। তাৎক্ষণিক নগদ টাকা হাতে পেয়ে আগামীর চিন্তা না করেই জমির টপ সয়েল বিক্রি করছেন কৃষকরা। আশপাশের জমির মাটি কেটে নেয়ায় অনেকেই আবার বাধ্য হয়ে নিজের জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। উপজেলার কাশিয়াবাড়ী, খিরাপাথার, পাকুরিয়া, উচাই, মহিপুর মোড়, নঁওদা, পাকুরতলী, পূর্ব করিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ৩ ফসলি মাঠ থেকে প্রতিদিন মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসব এলাকায় যারা যে সব যন্ত্রযানে মাটিবহন করছে তাদের অনেকেই এসব যান চালানোর তেমন কোনো জ্ঞান নেই। এতে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়ানের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিদিন এমন চিত্র এলাকাবাসীর চোখে পড়লেও প্রশাসন যেন দেখছেই না। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৮-১০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেয়ার ফলে পাশের জমিগুলো ভেঙে পড়ছে। ফলে ওই জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এতে দিন দিন বাড়ছে অনাবাদি জমির পরিমাণ। স্থানীয় আসাদ, তছির, ছানোয়ার, সুভ্রসহ কয়েকটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে মাটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামরা করছেন সচেতন উপজেলাবাসী।
এবিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটা নিষেধ। কৃষি জমির উপরিভাগের মাট কাটলে জমি তার উর্বরতা হারায়। আর গভীর করে কাটলে স্থায়ী ক্ষতি হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ আফজাল রাজন জানান, যদি কেউ ফসলি জমির মাটি কাটে তাহলে দেখে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।