চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

নাজিম উদ্দিন রানা।

সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবসায়ী মো. সেলিম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। এতে ১০ দিনের মধ্যে দাবি করা দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে সেলিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বাদীর আইনজীবী ইফতেখার ফয়সাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- শিপন খলিফা, এম সজিব, রিয়াজ হোসেন, কাজী আল-আমিন, মোরশেদ আলম, আনোয়ার হোসেন বাবু, সাইফুল পাটওয়ারী, আমিরুল ইসলাম মিরন, ইসমাইল হোসেন, তাজু ভূঁইয়া, রাকিব হোসেন, আরাফাত হোসেন রিফাত, মো. জয়, মো. রিমন, মো. পিয়াস, মো. সৈকত, মো. শাওন ও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজন। অভিযুক্তরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারী বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদী সেলিম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ও অটোরিকশা ব্যবসায়ী। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অভিযুক্তরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সেলিমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় বিচারের জন্য গেলে সেলিমকে ধমক দিয়ে অভিযুক্তদের দাবি করা টাকা দিতে বলেন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। পরে ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে অভিযুক্তরা সেলিমের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

গত ৫ এপ্রিল দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের যাত্রী ছাউনি এলাকায় নুরুল আমিনসহ অভিযুক্তরা সেলিমের পথরোধ করেন। এসময় তাদের দাবি করা দুই লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেলিমকে পিটিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে গলাটিপে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা।

এসময় তার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও প্রায় ২৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেন তারা। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। ১০ দিনের মধ্যে চাঁদার টাকা না দিলে ও ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তারা সেলিমকে হত্যার পর মরদেহ গুমের হুমকি দেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন,সেলিম সিএনজি থেকে চাঁদা তোলে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। মামলায় ঘটনার যে সময় দেওয়া হয়েছে, তখন আমি পরিষদে ছিলাম। আমার কাছে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে। একটি চক্র সেলিমকে দিয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আদালতের নির্দেশনার কপি অফিসে এসেছে কী না জানা নেই। নির্দেশনার কপি হাতে পেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *