চাকরি দেয়ার নামে প্রতারনা নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রফিকুল ইসলাম,
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগ নেতার দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার দুপুরে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সান্টুর বিরুদ্ধে এহাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় এলাকার শত শত মানুষ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হেলাল উদ্দিন সান্টু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও সেচ্ছাচারিতা করে আসছে। সরকারি ঘর, টিউবওয়েল ও চাকরির দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে হুমকি ধামকি মারধর এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। ভুক্তভোগীরা দল থেকে সান্টুর বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রিশাদ হাওলাদার, কামাল খান, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সহ সভাপতি জাহিদ হাওলাদার।

বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রিশাদ হাওলাদার জানান, এলাকায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাস ও সরকারি বিভিন্ন সহযোগীতা দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হেলাল উদ্দিন সান্টু হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দেয়। এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা বানিজ্যি করেছে। দলের প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে চলছেন সে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের সামনের প্রতি দোকান থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হচ্ছে তাকে।
ভুক্তভোগী কামাল খান বলেন, সরকারি টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে দুই বছর আগে ২২ হাজার টাকা নেয় সান্টু। কিন্তু আজ পর্যন্ত টিউবওয়েল দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে টাকাও ফেরত দেয় না। উল্টো হুমকি ধামকি দেয়। আমরা তার বিচার চাই।

ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংবাদকর্মী জুয়েল রানা বলেন, হেলাল উদ্দিন সান্টুর চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। আমি তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায়, আমাকে ফোন দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। যার রেকর্ড আমার কাছে আছে।
ভুক্তভোগী তাসলিমা বেগম বলেন, বড় বাইশদিয়া এহাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেয় সান্টু। পরে আমাকে আর চাকরি দেয় নাই। চাকরি দিয়েছে অন্য একজনকে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *