কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ ধোপাজান চলতি নদীর পূর্বপাড় সংলগ্ন নদীর পাড় কেটে পাথর আহরণ করে অবৈধভাবে পাথর ভর্তি বলগেট পরিবহনের সময় একটি স্টিল বডি নৌকাসহ তিন জনকে আটক করে নৌ পুলিশের টহলদল। মঙ্গলবার ভোরে সুরমা নদীর ইনাতনগর এলাকা থেকে নেকৈা সহ তিন জনকে আটক করা হয়। নৌ পুলিশ ও অভিযোগ সুত্র জানায়, মহামান্য হাইকোটের রায়ের প্রেক্ষিতে ধোপাজান চলতি নদীর বালি ও পাথর মহালের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও গভীর রাতে নদীর পাড়কেটে বালি ও পাথর উত্তোলন করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকারক বিপর্য ঘটিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসমস্থ কার্যকলাপের সংবাদ পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌ পুলিশের টুকেরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পাথর ভর্তি একটি স্টিল বডি নৌকাসহ তিনজনকে আটক করে নৌ-পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ছোট ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তৈয়বুর রহমান (৩৪) সামছু মিয়ার পুত্র সাদির মিয়া (২২) আব্দুল আওয়ালের পুত্র আজিজুল ইসলাম(২৬)কে আটক করে সদর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। এ ছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরকেট গ্রামের ইদু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া(৩২)”র” নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩জনকে আসামী করা হয়েছে। এসময় টুকের বাজার নৌ পুলিশ ফাড়ির এসআই পরিমল চন্দ্র মল্লিক এর নেতৃত্বে কনস্টেবল ছাদেকুর রহমান, আশিক শেখ উপস্থিত ছিলেন। আটককৃত পাথরের বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। টুকের বাজার নৌ- পুলিশ ফাড়ির এএসআই ফরিদ আহমদ বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নৌ পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা নৌকাসহ আসামীদের আটক করে সদর থানায় আসামীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টুকের বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই পরিমল চন্দ্র মল্লিক জানান, নৌ পুলিশের সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার সম্পা ইয়াসমিনের নির্দেশনায় অবৈধ পাথর ভর্তি বলগেট আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আসামীদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। নদী ও পরিবেশ রক্ষা করতে নৌ-পুলিশের অভিযান অব্যহত থাকবে।##

Leave a Reply