January 15, 2025, 7:57 am
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আশির দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নিবেদিত প্রান, ত্যাগী ও সংগ্রামী আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম শোয়েব আহমদ চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, আদর্শবান, দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান, বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর মতো এমন দেশপ্রেমিক, দূরদর্শী ও সততার মূর্তপ্রতিকের অন্যতম উদাহরণে পরিণত হতে পারলেই প্রকৃত রাজনীতিবিদ ও রাজনীতির মহাকবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
সোমবার (২৭ মার্চ) শোয়েব আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ ও মতবিনিময়ে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনাব শোয়েব আহমদ চৌধুরী অত্যন্ত দূরদর্শী, আপাদমস্তক ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন প্রকৃত ও পরিক্ষিত সৈনিক ছিলেন। শোয়েব আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন, বিশ্বাসী ও অনুগত। তার মতো রাজনীতিবিদ ও নেতা বর্তমান রাজনীতিতে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, শোয়েব আহমদ চৌধুরী স্বৈরাচার সরকারের পতন ও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে নিজের জীবন বাজি রেখে ঢাকার রাজপথে অসংখ্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও স্বৈরতন্ত্রের পতন এবং গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনে তাঁর অবদান অসামান্য ও চিরস্মরণীয়। ওয়ান ইলেভেনের সময়ে আওয়ামী লীগের অত্যান্ত দুর্দিনে দলের পাশে ছিলেন। এমনকি দলের প্রতিটি দুঃসময়ে শোয়েব আহমদ চৌধুরী দলের পাশে থেকে একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে দলের পক্ষে কাজ করেগেছেন। অসংখ্যবার হামলা-মামলার শিকার এবং কারাবরণ করলেও অন্যায়ের কাছে কোনোদিন আপোষ করেননি তিনি। শোয়েব আহমদ চৌধুরী একজন নিখাঁদ দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, সংগ্রামী, এবং আপোষহীন নেতা ছিলেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শোয়েব আহমদ চৌধুরী ব্যাক্তি হিসেবেও একজন মহান মানুষ এবং আলোকিত মহাপুরুষ ছিলেন। সুশিক্ষিত, মার্জিত এক বিরাট মহান ব্যাক্তি শোয়েব আহমদ চৌধুরী ছিলেন অসংখ্য, অগণিত জ্ঞান ও প্রতিভার অধিকারী। সদা বিনয়ী ও মিষ্টভাষী এই নেতা ছিলেন সর্বদা নিরহংকারী, যাকে কোনো অহংকার, লোভ-লালসা স্পর্শও করতে পারেনি। তিনি ছিলেন একজন মানবদরদি, জনদরদী ও পরোপকারী ব্যাক্তি। কর্মী থেকে নেতা হয়ে উঠা শোয়েব আহমদ চৌধুরী সর্বদা সাধারণ মানুষ ও দলের তৃনমুল কর্মীদের পাশে থেকেছেন। দেশ ও জনগনের কল্যাণের আত্মস্বার্থকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দেশমাতৃকার সেবায় নিঃস্বার্থে কাজ করেছেন তিনি। সকল ধর্ম, শ্রেণী-পেশার মানুষের যেকোনো বিপদেই ছুটে গেছেন তিনি, পাশে দাড়িয়েছেন তাঁদের। আর তাই তো জনতার নেতা শোয়েব আহমদ চৌধুরী দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের কাছেই ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। সততা, নম্রতা, সরলতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা তাঁকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিলো। তিনি আপন কর্মের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে নেন। যা রাজনীতির অঙ্গনে বিরল। প্রয়াত শোয়েব আহমদ চৌধুরীর মতো যদি সবাই রাজনীতি করেন তাহলে তাঁর মতোই সকলে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন এবং মানুষের হৃদয়ে আজীবন অম্লান থাকবেন। আমাদের সকলেরই উচিৎ শোয়েব আহমদ চৌধুরীর মতো আদর্শবান হওয়া, তাঁর আদর্শ ও নীতিকে অন্তরে ধারণ করা।
এসময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শোয়েব আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টাবৃন্দ, শোয়েব আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি জননেতা মো. মশিয়ার রহমান এ সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল ইসলাম (বাদশা) সহ নবনির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
শোয়েব আহমদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দরাও এসময় মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান। এবং রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।