প্রেস ব্রিফিং এ ইমতিয়াজ হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালো মুন্সীগঞ্জ পুলিশ

মুন্সীগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধিঃ প্রেস ব্রিফিং এ ইমতিয়াজ হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালো মুন্সীগঞ্জ পুলিশ, নির্দিষ্ট তথ্য না থাকার কারণেই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিলো

স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যা মামলায় আসামী গ্রেফতার ও হত্যার বিবরণ নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রেস ব্রিফিং করেছে।

বুধবার (২৮ মার্চ) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রংমে বিকাল ৩ টায় পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন বিপিএম পিপিএম গত ৮ তারিখ ইমতিয়াজ নিখোজ হওয়া থেকে আজ ২৬ তারিখ আসামী গ্রেফতার করে জবানবন্দী নেয়া পর্যন্ত সম্পূর্ন ঘটনা তুলে ধরেন।

কেনো পরিচয় থাকা সত্বেও বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, কলাবাগান থানার মিসিং রিপোর্ট জেলা পুলিশ পর্যন্ত না পৌছানোর কারনের মুলত লাশটি দাফন করা হয়েছিলো। তবে সকল ধরনের আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন ও পুলিশ নিয়মিত মামলা রুজু করার পড়েই তার লাশ দাফন করা হয়েছিলো।

পুলিশের তথ্যে আরো উঠে এসেছে ইমতিয়াজ হত্যায় ৫ জনের একটি চক্র জড়িত ছিলো। গত ২৬ তারিখ ডিএমপির ডিবি পুলিশ আসামী মুন্নাকে সিরাজগঞ্জ ও আনোয়ারকে ঢাকা থেকে ও ডিবি মুন্সীগঞ্জ মেঘ (হিজড়া) কে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিকালে গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সন্ধ্যায় দোষ স্বীকার করে তৃতীয় লিঙ্গের এহসান ওরফে মেঘ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকি দুজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক রহিমা আক্তার।

জবানবন্দী থেকে জানা যায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের চক্রের সদস্য আরাফাত ইমতিয়াজকে তার কলাবাগানের বাসায় নিয়ে আসে, পরে চক্রের অন্যান্য সদস্যরা এসে ইমতিয়াজকে আপত্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে তাকে ভয় দেখায় এবং টাকা দাবী করে।

ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে কাঠের লাঠি দিয়ে আরাফাত তাকে আঘাত করে এবং এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। এরপর কৌশলে মেঘের প্রাইভেটকারে করে ইমতিয়াজের লাশ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপে ফেলে আসামীরা পালিয়ে যায়।

উলে­খ্য, উদ্ধারের পর দিন আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশটি আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করা হয়। ৯ মার্চ বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়। ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার ওই লাশ কবর থেকে উঠিয়ে শনাক্ত করেন স্বজনেরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *