স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে মেয়ে বৈশাখী রায়কে ফিরে পেতে ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহরনের শিকার এসএসসি পরিক্ষার্থীর পিতা দীপক রায়।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থীর পিতা দিপক রায় বলেন, আমার মেয়ে বৈশাখী রায়ের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বয়স ১৫ বছর। আমার মেয়ে এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা। অন্যান্য দিনের মত গত ১৯ ফেব্রæয়ারী আমার মেয়ে বৈশাখী রায় সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ী থেকে বের হয়। এসময় আমার মেয়ে পোনা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের উত্তর পাশে পৌঁছালে আসামীগন পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে অবস্থায় নিয়ে জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের রফিক মল্লিকের ছেলে আর রহমান মল্লিক ও তার সঙ্গীয় আহাদুল মল্লিক, আহাদুল মল্লিকের স্ত্রী সুমি বেগম, পোনা গ্রামের খোরশোদ মোল্যার ছেলে আলম মোল্যা, জাটিগ্রামের কাওসার মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা এবং বিল্লাল মোল্যার স্ত্রী ময়না বেগম জোরপূর্বক অপহরন করে সাদা রং এর একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। এব্যাপারে আমি কাশিয়ানী থানায় একটি অপহরন মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং উল্টো আমাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আসামী করে চালান দেয়ার হুমকী দেয়। এতে আমি আতংকিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি পিবিআই পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য পাঠায় বিজ্ঞ আদালত। আজ ১ মাস ৬দিন পার হয়ে গেলেও কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও পিবিআই পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই হিমানিশ বিশ্বাস আমাকে বলে তিন মাস পরে এসে যোগাযোগ করবেন। মামলার প্রতিদেন দিতে আমার তিন মাস সময় লাগবে। আমি একজন অপহৃত কন্যার অসহায় পিতা। আমি আমার মেয়ে উদ্ধারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রসাশনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করছি।
পিবিআই পুলিশের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমানিশ বিশ্বাস বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, মোবাইল ট্রাকিং করে পাওয়া গেছে ঢাকায় আছে। পরে আরম দেখা হয়নি। যদি আমরা ভিকটিম উদ্ধার করতে না পারি তাহলে আমি ৩ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করবো বলে বাদীকে জানিয়েছি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম বলেন, দীপক রায় আমাদের কাছে আসলে অভিযোগটি নিয়ে একজন আইও দিয়ে তদন্ত করে দেখা হয় তার মেয়ে প্রেম করে চলে গেছে। এরই মধ্যে তিনি আদালতে মামলা করেন। একই ঘটনায় দুইটা মামলা হয় না। পরে আমরা আর মামলা নেইনি। দীপক রায়কে পেন্ডিং মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগটি সর্ম্পূন মিথ্য ও ভিত্তিহীন। #

Leave a Reply