রাজশাহীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ কলকাতা থেকে আগত অতিথিরা

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, পরিকল্পিত নগরায়ন, রাতের আলোকায়ন ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন ভারতের কলকাতা থেকে আগত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিকেরা। দুই দিনের সফরে এসে রাজশাহীকে দেখে রাজশাহী নগরী ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা। রাজশাহীকে সৌন্দর্যের প্রতীক বলে অখ্যায়িত করেছেন তারা।

বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের আহবায়ক সৌম্যব্রত দাস বলেন, আমরা দুইদিন ধরে রাজশাহীতে আছি। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি। রাজশাহীর সব কিছুতে একটা পরিকল্পিত উন্নয়নের ছাপ দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে রাজশাহীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নে মুগ্ধ হয়েছি। দিনের রাজশাহী আর রাতের রাজশাহী আলাদা,দিনে পরিচ্ছন্ন ও রাতে আলোকউজ্জ্বল। বাংলাদেশের অন্য শহরও আমি দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে অন্য শহরে তুলনায় রাজশাহী এগিয়ে আছে।

কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, রাজশাহীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ ও আতিথিয়েতায় আপ্লুত। রাজশাহীর নগরপিতা যেভাবে শহরকে সাজিয়েন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে সব কিছুই পরিকল্পিত। দুই দেশের মানুষের সুস্থ সম্পর্ক বহমান থাকবে। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আরো নিবিড় হবে।

রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাস কমিউনিকেশন এন্ড ভিডিওগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শ্রী দেবজ্যোতি চন্দ বলেন, রাজশাহী সত্যিকার অর্থেই গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি। এটি বাংলাদেশের এডুকেশন হাব। রাজশাহীর টাউন প্ল্যানিং, প্রশস্ত রাস্তা ও সবুজায়ন প্রক্রিয়াকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিভিন্ন কাজ করছে। উভয় দেশে ব্যবসা-বানিজ্য অনেক বাড়বে। সেক্ষেত্রে রাজশাহী গুরুত্বপূর্ণ শহর ভুমিকা পালন করবে। ভারত-বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পিপল টু পিপল কন্টাক্ট, সিভিস সোসাইটি টু সিভিস সোসাইটি আদান-প্রদান আমাদের এই যাত্রা আরো সুদৃঢ় হবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর ড. সান্তুন চট্রোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের কথা শুনেছিলাম। আমরা এসে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এতো সুন্দর ও পরিপাটি একটি শহর। বাংলাদেশের অন্য শহরের তুলনায় রাজশাহী এগিয়ে আছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সদস্য বিদ্যুৎ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে এতো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর আছে, রাজশাহীতে না আসলে জানতে পারতাম না। সত্যিকার অর্থেই রাজশাহী সোন্দর্যের শহর।

উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে সোমবার (২০ মার্চ) রাজশাহীতে আসেন কলকাতার অতিথিরা। সোমবার বরেন্দ্র জাদুঘর, পদ্মাপাড়, টি-বাধ ও রাতে আলোকায়ন ঘুরে দেখেন তারা। মঙ্গলবার ( ২১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তাহেরপুরের ঐতিহাসিক দুর্গামন্দির, নাটোর রাজবাড়ি ও পুঠিয়া রাজবাড়ী পরিদর্শন করেন।

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *