ডাসারে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুল ভবন নির্মানের অভিযোগ! তথ্য যানতে চাইলে ঠিকাদার অকথ্য ভাষা ব্যবহার হুমকি

রতন দে,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রামে চলবল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে ব্যাপক নিন্মমানে সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়েও নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাইর কাজ করতে দেখা গেছে মিস্ত্রীদের ছিল, না ইঞ্জিনিয়র বা ঠিকাদারের কোন লোকজন।
মুঠোফোনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক সৈয়দ তুহিন হাসানের কাছে, কাজের বিষয় তথ্য যানতে চাইলে,অশ্লিলভাষা ব্যবহার করে সাংবাদিকদের হুমকি।
স্কুল প্রধান,ম্যানেজিং কমিটি ও এস্থানীয় সুত্রে জানা যায়,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদারীপুর জোন থেকে ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চলবল উ”চ বিদ্যালয়ের ৪(চার) তলা ভিত বিশিষ্ঠ এক(১) তলা একাডেমীক ভবনের উপর ২(দুই) তলা ভবন পাশ হয়। গত দুই বছর পূর্বে মের্সাস ফজল এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পায় এবং প্রোঃ সৈয়দ তুহিন হাসান উক্ত কাজটি গত এক(১) বছর আগে স্কুলটির ভবনের কাজ শুরু করেন। স্কুল ভবনটি গ্রামের ভিতরে এবং ডাসার এলাকায় ঠিকাদারের বাড়ি বিধায়,কাজের শুরু থেকেই অতিনিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করছেন বলে জানায় এস্থানীয় লোকজন,স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
সদ্য বিধায় নেয়া চলবল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সরকার বলেন, কাজের সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। আমি ইঞ্জিনিয়র কে বলেছি,সে বলে যখন কাজের টেনডার হয়েছে ওই সময়ে করলে ভাল হত,এখন বাজার ভাল না,তাই কনছিডার করা হচ্ছে। ছুরকি খোয়া যে ওখানে দেখছেন,ওইটা দিয়েই আগের ছাদ ঢালাই দিয়েছে। কাজের মান খারাব।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ বলেন, আমি ভাল কাজ করার জন্য এসও সাবকে কলছি, সব দিকদিয়ে কাজের গুনগত মান সম্মৃদ্ধ নয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহদেব কুমার বাড়ৈ বলেন, আমি যখনি কাজের ওখানে গিয়েছি,তখনি কাজের ওখানে ইঞ্জিনিয়র বা ঠিকাদার পাইনি। কাজের ইট খোয়া দেখলাম ভাল না।
এ বিষয় যানতে চাইলে মের্সাস ফজল এন্টার প্রাইজের মালিক(ঠিকাদার) সৈয়দ তুহিন হাসান বলেন, কাজের মান কি খারাব,খারাব হলে ইঞ্জিনিয়রকে বলবে,এসওকে বলবে,আপনাকে কে বলেছে।আমি কি চৌকিদার, যে কাজের কাছে থাকবো। সাংবাদিকতা বাধদিয়ে চৌকিদারী করেন। আপনাদের মত অনেক সাংবাদিক দেখেছি। আমার রড খারাব,ইট খারাব,খোয়া খারাব লিখে আপনি নিউজ করে দেন। আমাকে চেনেন আমি সৈয়দ তুহিন হাসান,আমি ৬৪ জেলায় কাজ করি।
শিক্ষা অধিদপ্তর মাদারীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি ওখানে ইঞ্জিনিয়র পাঠাইতেছি। একটু পরেই ফোন করে বলেন, ঠিকাদার বলেছে, ওই মালামাল সরিয়ে ভাল মালামাল দিয়ে কাজ করবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *