মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মীম (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মুস্তাকিম (৭) ও চাচা ফজলুল হক গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মান্দুল পাড়া তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় জাতীয় মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মীম ওই এলাকার মুনসুর আলীর মেয়ে। সে বুড়াবুড়ি আদর্শ কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে মীম ও তার ছোট ভাই মুস্তাকিম, চাচা ফজলুল হকের মোটরসাইকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি এসে মোটরসাইকেলটি ঘুরিয়ে বাড়ির প্রবেশ পথে যেতেই পিছন থেকে কাভার্ড ভ্যানটি ধাক্কা দিলে সড়কে ছিটকে পড়েন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মীম। গুরুতর আহত হয় ছোট ভাই মুস্তাকিম ও চাচা ফজলুল। এদের মধ্যে ফজলুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় এক ঘন্টা সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, মীমের বাবা মুনসুর আলী পঞ্চগড়ে জেলহাজতে রয়েছেন। পঞ্চগড়ের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন মনসুর। কারাগারে বাবাকে দেখতে স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি থেকে প্রস্তুতি নিতে চাচার মোটর সাইকেরে বাড়িতে ফিরছিল মীম। কারাগারে বাবাকে দেখতে যাওয়া হলোনা না বলে এমন আক্ষেপে স্বজনদের বুকফাটা আহাজারিতে বিয়োগান্ত পরিবেশে পরিণত হয়েছে এলাকাটি।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের এসআই শাহীন জানান, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মীম নামের এক স্কুল ছাত্রী মারা গেছে। দুইজন আহত হয়েছেন। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এদিকে মিমের বাবা কারাগারে থাকায় শেষবারের মতো ছেলের সাথে দেখা হয়নি।
কারাগারে থাকায় মিমের সাথে শেষ দেখা হল না বাবার

Leave a Reply