কেএম সোহেব জুয়েল :গ্রামীন ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা – কর্মচারীদের মাঝে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাতা বোনাস পুন: স্হাপন রাখতে হাইকোর্টে মামলা দায়েরের খরচের টাকা আত্মশোধ করার অভিযোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন গ্রামীন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী হাউজিং এস্টেট কল্যান সমিতির কার্যালয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসুচির আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অবসর প্রাপ্ত গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা মো: আলী আকবর মিয়ার সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুহনিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি আকবর আলী বলেন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং ,গ্রামীন ব্যাংকের অবসর প্রাপ্তদের উৎসব , মাসিক চিকিৎসা ভাতা সহ,পেনসন দেয়ার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন অর্থমন্ত্রণালয়।
কিন্তু গ্রামীন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ আদেশকে কর্নপাত না করায় সমগ্র দেশের অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীন ব্যাংক প্রতিনিধীরা একজোটের সিদ্ধান্তক্রমে কমিটি গঠন করেন।এবং সকলের সিদ্ধান্ত ক্রমে জুলফিকার মো: হাবিবুর রহমান, মো: মোসলেম আলী খান পিন্টু ,একেএম রতন আলীকে উচ্চ আদালতে ভাতা চালুর দাবিতে ১ কুটি ৬৫ লক্ষ টাকা খরচের কতৃত্বে রিট করার সর্বস্ব ক্ষমতা ও ব্যায় ভার বহনে বরিশাল বিভাগের পক্ষ থেকে দায়িত্ব অর্পন করেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি পটুয়াখালী জেলা সদর কলাতলা এলাকার বটতলার মসজিদ সংলগ্ন মৃত দলিল উদ্দিনের পুত্র মো: জুলফিকার হোসেনকে।
কিন্তি তিনি (জুলফিকার) মামলা পরিচালনার নামে সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে টকা আত্মশোধ করেছেন বলে বক্তারা এমনটি উল্লেখ করেছেন।
বক্তারা আরো বলেন বরিশাল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা -কর্মচারিদের কাছ থেকে একক ভাবে ১৩ লক্ষ টাকা মামলা পরিচালনা ও
সদস্যের রিটে নাম না দেয়া ও গ্রামীন ব্যাংকের যোগসাজশে দায়সারা ভাবে মামলা চালিয়ে গ্রামীন ব্যাংকের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে বহুতল ভবন গড়ে তোলেন জুলফিকার এমনটি বলেছেন বক্তারা। এ সময় অন্যান্যদেরতাই এ সকল ব্যাক্তিদের টাকা দ্রুত ফেরত না দিলে জুলফিকারের নামে আইনগত ব্যাবস্হা নিবেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীন ব্যাংক প্রতিনিধিরা এমনটি জানিয়েছেন তারা।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো: নাসিরুদ্দিন মো: শাহআলম মো: আবুহানিফ মিয়া,মো: জাহাঙ্গীর হোসেন মো: সানু মৃধা, আ: রাজ্জাক মৃধা প্রমুখ,। অপরদিকে জুলফিকার হোসেন এই অভিযোগ ভিত্তি হীন ও এর কোন সত্যতা নাই বলে জানিয়েছেন এই প্রতিনিধীকে।
Leave a Reply