ময়মনসিংহে ওসি কামালের পরিকল্পনায় কনস্টেবল সাদ্দাম হত্যার ঘটনায়২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার-২

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামালের পরিকল্পনায় দিক নির্দেশনায় থানার এসআই নিরুপম নাগের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ এ অভিযান পরিচালিত করে ঘটনার সাথে জড়িত সহোদর দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো হাবিবুল করিম তপু ও আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির ও অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ এ তথ্য জানান।

কোতোয়ালি মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে খবর পেয়ে বাদে কল্পা গ্রামের মেহগুনি বাগান থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন। সে পুলিশ কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সে কর্মস্থলে গড় হাজির ছিল। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকরা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ জানতে পায়, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময়ই তার চাকরির কর্মস্থলে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে তার কর্মক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে সে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরে। টাকার জন্য সাদ্দাম বিভিন্ন সময় তার পিতামাতা সহ ভাইকে বিরক্তসহ নিজের তার মোবাইল ও মোটরসাইকেল পর্যন্ত বন্ধক দেয়। ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার সহোদর বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১টারদিকে পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানে হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ ৩জন অবস্থান করে ভিকটিম সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নেয়। সাদ্দাম কেন তাহার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামালের পরিকল্পনায় ঘাতকচক্রকে গ্রেফতারে টানা অভিযান পরিচালনা করে। সোমবার রাতে রাজাধানীর তেজগাও থেকে হত্যাকান্ডের মুলহোতা নিহতের বড় ভাই হাবিবুল করিম তপুকে এবং আনোয়ারুল ইসলামকে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিরুপম নাগের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক আহমেদ বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হলে তারা উভয়েই আদালতে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *