বেতাগীতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে ৫ শিশু অসুস্থ

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগীতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার পর ৫ শিশু অসুস্থ হয়েছে বলে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তারা। তবে এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর নিয়ে ১ বছর বয়সী আদিবা আফরিন, দুই বছর বয়সী নুর মোহাম্মদ, ৮ মাস বয়সী হুমাইরা, ১০ মাস বয়সী ওমর ফারুক ও দুই বছর বয়সী রহমাতুল্লাহ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

বুধবার সকালে শিশুদের বাড়ীতে খোজ নিয়ে ও হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে বর্তামানে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সোমবার সকালে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ার পর রাত থেকেই তাদের বমি শুরু হয়। এদের কয়েকজন বমি করেছে। পাশাপাশি জ্বর ও পাতলা পায়খানাও রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্যালাইন দেওয়া হয়।

বেতাগী পৌরসভার ৮ নংওয়ার্ডের অসুস্থ শিশু আদিবা আফরিনের বাবা মো. খোকন সরদার বলেন, টিকা খাওয়ানোর ১ দিন পর তার শিশু অস্থির হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক ভর্তি করি। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অসুস্থ শিশু ওমর ফারুকের মা শারমিন বলেন, ‘সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি কেন্দ্রে গিয়ে আমার ছেলেকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াই। এরপর বিকেলে সামান্য জ্বরের পাশাপাশি হঠাৎ বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে সন্ধ্যায় ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার ভাশুরের ৬ মাস বয়সী মেয়েও একত্রে এ ক্যাপসুল খেয়েছে। তারও রাতে জ্বর এসেছে। তবে সে বাড়িতেই রয়েছে।’

১০ মাস বয়সী শিশু রহমতুল্লাহ হাওলাদারের মা রেখা বেগম বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে কদমতলা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে আমার ছেলেকে এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াই। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছেলে বমি করা শুরু করে। তারপর ওকে হাসপাতালে ভর্তি করি।

বেতাগী পৌরসভার বাসিন্দা প্রভাষক মো: হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ায় খবর শুনে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রেেয়ছি। কখন কোন শিশু অসুস্থ হয়ে পরে।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন, ‘কয়েকটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন অনেকটা সুস্থ। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। অতিরিক্ত ক্যাপসুল খেলে কারও কারও বমিভাব অথবা অস্থিরতা হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে এটিবিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষিতএকটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল। এ ক্যাপসুল গ্রহণের কারণেই যে শিশুরা অসুস্থ হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, এতে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এনিয়ে শিশুদের যাতে রড় কোন সমস্যা না হয় আমি দেখবো।

মো: খাইরুল ইসলাম মুন্না
বেতাগী বরগুনা

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *