September 1, 2025, 6:48 am
বি এম মনির হোসেনঃ-
জাতীয় করণ ঘোষণার প্রায় পাঁচ বছর পরে সরকারী নিয়োগ হাতে পেলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবে অধ্যায়ণ করা বরিশালের আগৈলঝাড়ার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারী ভাবে নিয়োগ পাওয়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া-মোনাজাত করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে সরকারী নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে গত রোববার মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষন কমিটির আহ্বায়ক, জাতির পিতার ভাগ্নে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’কে তার সেরালস্থ বাস ভবনে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীরা।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এর সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সরদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সরোয়ার হোসেন, শিক্ষক মাহমুদুল আলম মিঠু, নির্মল ভদ্র, জামাল মুন্সি, আনোয়ার হোসেন, আলামিন হোসেনসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা। সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল হক সাংবাদিক বি এম মনির হোসেনকে জানান, ১৮৯৩ সালে ম্যাজিষ্ট্রেটের চাকুরী ছেড়ে কৈলাশ চন্দ্র সেন নিজ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী গৈলা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে নিজে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। ঐতিহ্যর ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবে এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। অধ্যায়ন করেছেন আরও অনেক গুনী শিক্ষার্থী। যারা এখন দেশ-বিদেশে বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’র প্রচেস্টায় ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় করণ ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সালে উপজেলা পর্যায়ে একটি বিদ্যালয় মডেল ঘোষণার অংশ হিসেবে বিদ্যালয়টি মডেল বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল হক আরও জানান, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় করণ ঘোষণার দীর্ঘ পঁাচ বছর পরে সরকারী বিধি-বিধান অনুসরণ করে সরকারী নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন বিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষক। এর মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এরিয়া বিলসহ সরকারের সকল প্রকার প্রাপ্য সুবিধাধি পাবেন শিক্ষকেরা। চার জন কর্মচারীর সরকারী নিয়োগপত্র হাতে পাননি। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, একজন অবসরে গেছেন, দুইজনে পদ না পরিবর্তনের কারনে তাদের নিযোগ প্রাপ্তিকে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে শিঘ্রই তাদের নিযোগ হাতে পাবেন বলেও আশা করছেন তিনি।