কে এম সোহেব জুয়েল :- মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস বারবার পেড়িয়ে গেলেও দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময়ে গড়ে উঠে নাই বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর ডিগ্রী কলেজে শহীদ মিনারটি।
সরকারিভাবে প্রতিটি প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মানের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না ওই কলেজের বেলায়। তারা নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করে শ্রদ্ধার নামে নানান অজুহাতে বৃদ্বা আঙ্গুলী দেখিয়ে দীর্ঘ দুই যুগেরও অধিক সময় অতিবাহিত করছেন শহীদ মিনার তৈরির বেলায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ সড়জমিন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,কতিপয় প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভাষা দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে শহীদ ব্যধীতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ হয় নামকাস্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে শহীদ মিনার তৈরি করে।
তদরুপ আগরপুর ডিগ্রি কলেজেও দুই যুগের অধিক সময় ধরে কলাগাছ কিম্বা কাঠের গুরি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা ।
শহীদ মিনার নির্মানে সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলেও স্থানীয় উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০২১ সালে ৯ মে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে অভিন্ন শহীদ মিনার তৈরি করতে এবং
সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্টানে নকশা পাঠানো হয় ওই সময়। পাঠানো হয় শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শহীদ মিনার তৈরির যাবতীয় তথ্য। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাও দেওয়া হয় সেই সময়ে।
সরকারের এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও আগরপুর ডিগ্রি কলেজের বেলায়ও একই অবস্থায় নির্মান করা হয়নি শহীদ মিনার।
এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও সুধিসমাজের অভিমত আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ভাষা প্রেম, উদ্ভুদ্ব করতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা দরকার শহীদ মিনার এমনটি মনে করে স্বাধীনতার চেতনার ভাষাপ্রেমী মানুষেরা। ওই কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,দুই যুগ পেড়িয়ে গেলেও এই শিক্ষা প্রতিষ্টানের কর্তীপক্ষের মধ্যে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধ্যার্থে কিঞ্চিৎ পরিমান সাড়া জাগেনি। তাই নিরুৎসায়ী ভাবে নামকাস্তে শিক্ষা প্রতিষ্টানে জড়িতদের চাকুরী বাচানো সহ সমালোচনার ঝড় থেকে পরিত্রান পেতে দায়সাড়া ভাবে কলাগাছ কিম্বা কখনেো গাছের গুরি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে । এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মো: এবায়দুল হক শাহীন সাথে স্বাক্ষাৎ করা হলে তিনি বলেন শহীদ মিনার তৈরির কাজ চলছে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের স্মরনে পাকা স্হাপনার তৈরি শহীদ মিনারে ফুল দিয়েই শহীদদের স্মরন করা হবে বলে আশা করছেন কলেজ অধ্যক্ষ এবায়দুল হক শাহীন।
তাই এ সকল প্রতিষ্টানে দ্রুত শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের সঠিক ভাবে শ্রদ্ধা দিতে শিক্ষাঙ্গনে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তীপক্ষের সু- দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহলের লোকজন।।
অন্যথায় এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা সম্পর্কে চীরঅজ্ঞ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলের লোকজন।
Leave a Reply