আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসন ভিআইপি আসন হিসেবে স্বীকৃত। ফলে এই আসনের নির্বাচনী হিসেব-নিকেশ সবসময় একটু ভিন্ন হয়। দলীয়ভাবেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে এ আসন ঘিরে। ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বরাবরই মাঠে আছেন এবং নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রাম ও পাড়া ও মহল্লায় বিচরণ করছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো তার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি, সম্ভবনাও নেই। তবে মাঝে মাঝে ডুলিয়া-পাপিয়া-মহীয়ারা শীতের সুর্যের মতো দুর থেকে উঁকিঝুঁকি দিলেও সেটা (বগী) আওয়াজ ব্যতিত কিছু নয় বলে মনে করছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। কারণ দলের সাংগঠনিক দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী এমপির বিপক্ষে নাই। ফলে তিনি আবারো নৌকার টিকেট পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। আসনটিতে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না ও প্রার্থী নিয়ে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। তারপরও মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিন, সাজেদুর রহমান মার্কনী, অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন শাহীনসহ দু-একজন নেতার নাম নেতাকর্মীদের মুখে ঘুরে ফিরছে। অন্যদিকে সুকৌশল ও মন্থরগতিতে নির্বাচনী মাঠ তৈরি করছে জামায়াতে ইসলামী। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানান দিচ্ছে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে
নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা না থাকলেও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে চায়ের দোকান, আড্ডাখানায় চলছে রসালো আলাপচারিতা। যেখানে বরাবরের মতো এগিয়ে রয়েছে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে আসন্ন নির্বাচনে কারা হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী এ নিয়েও বেশ বাক চর্চা শুরু হয়েছে। রাজশাহী-১ আসনটি ১৬টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। রাজনীতিতে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত তিন দলেরই রয়েছে ভোট ব্যাংক। তিন দল থেকেই এমপি নির্বাচিত হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসন ছিল বিএনপি-জামাতের দুর্গ। বিগত ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় দেড় দশক ছিল বিএনপি-জামাতের একচ্ছত্র আধিপত্য। আর প্রয়াত ব্যরিস্টার আমিনুল হক ছিলেন অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। একবার জামায়াত ও তিনবার বিএনপির এমপি ছিলেন। সেই বিবেচনায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা মনে করেন, এই আসনটি সারা দেশের মধ্যে জামায়াতের অন্যতম দুর্গ। ফলে জোটগত হোক আর এককভাবে হোক; আসনটিতে তারা জামায়াতের প্রার্থী আশা করেন।
জানা গেছে, বিগত ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হন শিল্পপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এদিকে ফারুক চৌধুরীর বিজয়ের মধ্যদিয়ে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সুর্য অস্তমিত হয়। এমপি ফারুক চৌধুরী তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় বিএনপি-জামায়াতের আতুড় ঘর তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসত ঘরে পরিণত করেছেন। রাজশাহী অঞ্চলের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সিআইপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগে আশার পর, তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজনীতিতে নব জাগরণের সৃষ্টি করেছেন। তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, বিগত ২০০৯ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ বিএনপির দখলে, তানোর পৌরসভা ২৬ বছর ধরে বিএনপি রাজত্ব করেছে। কিন্তু এমপির দিক নির্দেশনায় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো আওয়ামী লীগের দখলে, এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির রাজনৈতিক দুরদর্শীতায়, অথচ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন আসলেই তার বিরুদ্ধে চলে নানামুখী ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, আবারো আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপির বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। এর আগেও বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে কথিত সেভেন স্টার গঠন করে এমপিকে ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বিপদগামীরা। ফারুক চৌধুরী তার মনোনায়ন নিয়ে ভাবেন না বরং তার সুপারিশে কারো কারো মনোয়ন হয়। তিনি এমন এক নেতা যতদিন ধরে রাজনীতি করছেন কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি এবং লাখো নেতাকর্মীদের দোয়ায় আগামীতেও তিনিই মনোনায়ন পাবেন এবং পুনরায় এমপিও হবেন ইনশাল্লাহ। এবিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিল্পপতি ও তরুণ নেতৃত্ব আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন বলেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এটাকে দল করা বলে না। আর এমপি ভাই কোনো সময়ের জন্য দলের হাইকমান্ডের বা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেন নি। তিনি বলেন, এমপি ভাইয়ের বড় অপরাধ তিনি কখানো অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না, দলকে পকেট বন্দী রাখে না। তিনি বলেন,
অতীতে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কি অবস্থা ছিল আর এখন কি অবস্থা সেটা বিবেচনা করলই বুঝতে পারবে। তিনি বলেন, তানোর গোদাগাড়ী বিএনপির ঘাটি, সেটাকে সুকৌশলে
তিনি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, তানোর গোদাগাড়ীতে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেতা তৈরি হয় নি, তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় আজ ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। তিনি এমন একজন নেতা যার দরজা ন্যায়ের জন্য খোলা, অন্যায়ের জন্য বন্ধ। এমপি শুধু নেতাই না আমাদের অহংকার। যারা তাকে নিয়ে অযথা ষড়যন্ত্র করেছেন বা করছেন তাদের ভাবা উচিত যারাই এমপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তারাই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে, সুতরাং তিনি যতদিন সুস্থ থাকবেন আমাদের বিশ্বাস ও দাবি নেত্রী ততোদিন তাকেই নৌকার টিকিট দিবেন। কারন নেত্রীও ভালো ভাবে জানেন এই এলাকায় শুধুমাত্র ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্য আওয়ামীলীগ এক সুসংগঠিত দলে পরিনত হয়েছে।#
রাজশাহী-১ আসন এমপি ফারুকেই আস্থা

Leave a Reply