ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃরাত পোহালেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। এ উপলক্ষে নানা রঙের ও বাহারি ফুলে, বিশেষ করে গোলাপে, সেজে উঠেছে শহরের প্রতিটি ফুলের দোকান।
এদিকে ভালোবাসা দিবসেই, অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ঋতুরাজ বসন্তের শুরু। চারদিকে তাই বসন্তের ছোঁয়া। প্রকৃতি বর্ণিল হয়ে উঠেছে পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়াসহ বাহারি ফুলের রঙে আর সবুজ কচি পাতার সমারোহে। কোকিলের কুহু কুহু ডাকে বসন্ত-আবাহনের ধ্বনি।
বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কয়েক বছর ধরে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ফুলবাণিজ্যের সবচেয়ে বড় সুযোগ হিসেবে ধরে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ২১ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
ব্যবসায়ীরা জানান, বসন্তের প্রথম দিন, ভালোবাসা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের সর্বাধিক চাহিদা থাকে। এ কয়দিনে কয়েক লাখ টাকার ব্যবসা হয় বলে জানান তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, সড়কের মোড় ও আবাসিক এলাকায় টাটকা ফুল নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ফুল ব্যবসায়ীরা। এদিকে ফুলের পাইকারি বিক্রেতা, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি আয়ের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কয়েক বছর আগেও ফুলের এমন কদর ছিল না। সময় পল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন সর্বত্রই ফুলের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, গাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
ফুল ব্যবসায়ী বাবু জানান, বসন্তের প্রথম দিনই ভালোবাসা দিবস। এ কারণে ফুলের চাহিদা বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি গোলাপ মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও

Leave a Reply