পঞ্চগড়ে ধর্ষন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় পিতা পুত্র হাজতে

পঞ্চগড় হতে মোহাম্মদ বাবুল হোসেন :
ধর্ষন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার পৃথক দুটি মামলায় ৪ আসামিকে হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক শুনানি শেষে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।ধর্ষনের অভিযোগে পলাশ চন্দ্র বর্মন, আত্মহত্যা প্ররোচনা দেয়ার অপরাধে পলাশের বাবা শ্যামল চন্দ্র বর্মন, ভবেশ বর্মন ও কাজল বর্মন তারা সবাই পঞ্চগড় সদর উপজেলার লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারী পঞ্চগড় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ধর্ষন, সহায়তা ও সাধারন জখম করার অপরাধে চারজন,আটোয়ারী থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা দেয়ার অপরাধে মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়সহ পাঁচজনকে আসামি করে সুজন চন্দ্র বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখ করেছেন, কলেজ পড়ুয়া বোনকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন আসামী পলাশ চন্দ্র বর্মন। এঘটনার বিচার দাবি করলে বিষয়টি বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দিয়ে সুরাহার আশ্বাস দেন ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন পার হলেও কোন সুরাহা করতে পারেননি তিনি। বারবার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েও কোন বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তার বাবা (৫০)। গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গলায় চাঁদর পেচিয়ে বাড়ির অদুরে আবাদি জমির পাশের একটি পাকুর গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন জানান,ধর্ষন মামলায় পলাশ চন্দ্র বর্মন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার দেয়ার অপরাধ মামলায় তার বাবা চাচা ও দাদাকে হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত এবং চেয়ারম্যান হাই কোর্টের আদেশে ছয় সপ্তাহের জামিনে আছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *