নাঙ্গলকোটে আজিজ ব্রিক ফিল্ডে লেবারের টাকা আত্মসাৎ ও মারধরের অভিযোগ

আব্দুল রহিম বাবলু।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ৫নং মৌকরা ইউনিয়ন মৌকরা আজিজ ব্রিক ফিল্ডের মাঝি ইউনূছ মিয়া আজিজ ব্রিক ফিল্ডে কাজের বাবদ ৩ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা পাওনা হন, পাওনা টাকা দিবে বলে ব্রিক ফিল্ডে ডেকে নিয়ে মাঝি ইউনূছকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর ও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইউনূছ মাঝি বলেন; আমি দীর্ঘদিন যাবৎ মৌকরা আজিজ ব্রিক ফিল্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতাম, শ্রমিকদের কাজের টাকা বাবদ আমি আজিজ ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কামাল মাস্টার ও ফরহাদের কাছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা পাওনা হই। আমি টাকা গুলো চাইলে আমাকে আজ দিবে কাল  দিবে বলে এভাবে হয়রানী করেন তার।

এর মধ্যে গত ( ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং) বুধবার সন্ধ্যায় টাকা দিবে বলে মুঠোফোনে কল করে ব্রিক ফিল্ডের অফিসে নিয়ে যায়। আমি সেখানে যাওয়ার সময় আমার সাথে মাঝি সোহেলকে নিয়ে যা-ই, সেখানে আমার সাথে কথা বার্তা বলার পূর্বে এক পর্যায়ে উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আজিজ ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কামাল মাস্টার( ৪০), ফরহাদ (৩৫), ম্যানেজার ফরিদ এলোপাতাড়ি ভাবে আমার বুকে পিটে নাক মুখে কিল ঘুসি ও তলপেটে লাথি মারে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে।

খবর পেয়ে আমার ছেলে প্রাণ কোম্পানির (অল-টাইম) জেলা সুপারভাইজার ইয়াসিন আরাফাত সেখানে গেলে তাকে বলে আমার ধারা তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। টাকা দে বলে আমার ছেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং আমাকে মারধর করে আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়।

পরে সেখান থেকে এসে নাঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।

আজিজ ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী ফরহাদ বলেন; ইউনূছ মাঝি আমাকে শ্রমিক দিবে বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে যায়, সে কোন শ্রমিক না দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেলে শ্রমিকের সংকটে পড়ি,এলোমেলো মিক্সচারের কারণে মাল নষ্ট হয়ে যায়। এবং সেই ব্রিক ফিল্ডে অনৈতিক কর্মকান্ড করে বেড়ায় সেজন্য আমরা তাকে নিষেধ করেছি না আসতে। আমরা হিসেব নিকেস করে তার কাছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা পাওনা হই। সে আমাদের কে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যায় এবং বাকি ৬৩ হাজার টাকা দিবে বলে জিম্মাদার দিয়ে যায়। এখানে কোন ধরনের মারধর হয়নি।

আজিজ ব্রিক ফিল্ডের ম্যানাজার ফরিদ বলেন; আমি ইউনূছ মাঝি কে মুঠোফোনে কল করে অফিসে আসতে বলি, এসে হিসেবে করলে ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা ব্রিক ফিল্ডের বাবত তার কাছে পাওনা হই, সে টাকা থেকে তার ছেলে এসে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যায়। বাকী ৬৩ হাজার টাকার জিম্মাদার দিয়ে যায়। মারধরের বেপারে ও হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানাজার বলেন এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।

এবিষয়ে নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া বলেন; এবিষয়ে বিবাদীর সাথে কথা বলে জানতে পারি বাদী তার শ্রমিক নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বাদীর সাথে কোন কথা হয়নি, বাদীপক্ষের সাথে কথা বললে ব্যবস্তা নিব।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *