মোংলা বন্দরে এসেছে কয়লার জাহাজ, সপ্তাহখানেক পর ফের চালু হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারী বন্ধ হয়ে যাওয়া রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী সপ্তাহখানেক পর ফের চালু হতে যাচ্ছে। বুধবার বিকেল ৫টায় মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভিড়েছে প্লানটির কয়লা নিয়ে আসা বিদেশী জাহাজ এম,ভি স্পাইনেল। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে ৩৩ হাজার মেট্টিক টন কয়লা। এরপরই আবার আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী ৫১ হাজার মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে আসার সিডিউল রয়েছে আরো একটি বিদেশী জাহাজের। কয়লাবাহী বিদেশী জাহাজ এম,ভি স্পাইনেল’র স্থানীয় শিপিং এজেস্ট ‘টগি শিপিং এন্ড লজিস্টিক লি:’র খুলনার ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার মেট্টিক টন জ্বালানী কয়লা নিয়ে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম,ভি স্পাইনেল বুধবার বিকেল ৫টায় মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভিড়েছে। বুধবার রাত থেকেই এ কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ শুরু হবে। এরপর বিদেশী ওই জাহাজ থেকে খালাস হওয়া কয়লা লাইরেজে (কার্গো-কোস্টার) করে নেয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে। তিনি আরো বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫১ হাজার মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী মোংলা বন্দরে ভিড়বে আরো একটি বিদেশী জাহাজ। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল জ্বালানী কয়লাই আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে বলেও জানান খন্দকার রিয়াজুল হক। রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম আনোয়ারুল আজিম জানান, কয়লার সংকটে গত ১৪ জানুয়ারীর প্লান্টটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকার মধ্যেই বুধবার ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা একটি বিদেশী জাহাজ মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভিড়েছে। এখন সেখান থেকে লাইটারেজ করে কয়লা আনা হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। এরপর জেটি থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধিতে তা যাবে কয়লার গোডাউনে। মজুদ গোডাউন থেকে কয়লা নিয়ে জ্বালানীর ব্যবহার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করা হবে। যদিও এ প্রক্রিয়াও সময়সাপেক্ষ। তাই এ সকল প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহখানেকের পর পুনরায় উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তিনি আরো বলেন, আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসতে থাকবে, ফলে প্লান্টটির উৎপাদন ব্যাহত কিংবা বন্ধের আর তেমন কোন আশংকা ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবেনা। উল্লেখ্য, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালু হয় গত বছরের আগস্টে। এরপর ডিসেম্বর পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় জাতীয় গ্রীডে। আর ১৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ রয়েছে চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *