কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান

পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন সাংবাদিক প্রকাশ চন্দ্র ঘোষ বিধান। এস ডব্লিউ অনলাইন মিডিয়াতে প্রকাশিত পরিবেশ বিষয়ক তার প্রতিবেদন ও ফিচার পর্যালোচনা করে অনলাইন ক্যাটাগরিতে তাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পাখি মেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল দশটায় এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান এর সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসাবে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো : নুরুল আলম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুহু আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড. ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুক্তি মজুমদার বাবু এবং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ অনেকে। অনুষ্ঠান স ালনা করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ টি এম আতিকুর রহমান।মেলায় বাংলাদেশের পাখির নতুন প্রজাতি, বিপন্ন বা বিরল প্রজাতির পাখির সন্ধানের পর্যবেক্ষণের (ভিডিও ডকুমেন্টারি বা ছবি) উপর বিগ বার্ড বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে পাখি তথা জীববৈচিত্র সম্পর্কিত প্রকাশিত সংবাদের উপর ২০২২ ও ২০২৩ সালে সাত জনকে কনভারসেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং পাখির উপর বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।মেলায় ছিলো বিভিন্ন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলারস দিয়ে শিশু কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র এবং পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।এবার সহ-আয়োজক ছিলো ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি, আইইউসিএন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *