মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রচেষ্টায় এবছর সরিষা চাষে কৃষকের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। পাশাপাশি সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, এবছর বিভিন্ন জাতের সরিষা ফুলে ফুলে মাঠে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। এ যেন কৃষকের হাসিমাখা মুখেরই এক প্রতিচ্ছবি। জাতগুলো হলো উন্নত ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ জাতের সরিষা। এছাড়া ট্রী-সেভেনসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের সরিষাও শোভা পাচ্ছে কৃষকের ক্ষেতের মাঠে। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে অনেক বেশি সরিষার চাষ হয়েছে এই উপজেলায়। মোট ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ হিসেবে জানা যায় বর্তমান কৃষি অফিসার রাশেদুল কবিরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধকরণের ফল। পাশাপাশি সরকারি গণ প্রণোদনাও সরিষা চাষে ভূমিকা রেখেছে অনেকটা। এছাড়া গত বছর ভোজ্য তেলের অতিরিক্ত দাম এবং চাষীরা সরিষার বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষক এবছর সরিষার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে ধারণা করা যায়। এনিয়ে রামজীবন ইউনিয়নের সরিষা চাষী চান মিয়ার সাথে কথা হলে বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষা করে সাড়ে ১০ মন সরিষা পেয়েছি। এটা একটা ফাও আবাদ। খরচও কম।আমার দুই সেজেনের ধানও খুব ভাল হয়েছে। প্রতিমন সরিষা সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছি। তাই এবার আরও বেশি করেছি। সরিষা চাষী সামচুল হকের সাথে কথা হলে জানান, গতবার আধা বিঘেখানেক সরিষা করছিনু তা তেলে করে খেয়েছি। তেলের দাম অত্যাধিক জন্য এবার আড়াই বিঘে জমিতে সরিষা আবাদ করছি। তেল করি খায়া যেটা বেশি হবে সেটা বিক্রি করব। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরিষা খুব লাভজনক ফসল সময় ও খরচও খুব কম। সরিষা চাষাবাদে অন্য ফসলের কোন ক্ষতি হয়না। বরং জমির আরও উর্বর ক্ষমতা বাড়ে। এই অঞ্চলের মানুষ ধান চাষাবাদে বেশি অভস্ত্য। তাই আমাদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে অনেকে এবছর সরিষা লাগিয়েছে। আশা করছি সরিষার বাম্পার ফলন ফলবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply