January 15, 2025, 8:55 am
হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি::
পর্ণগ্রাফি ভিডিও ও ছবি প্রস্তুতের সময় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালপুর থানা পুলিশ পৌরসভার অভুঙ্গী চরপাড়া এলাকার কামরুল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে। এসময় আকটকৃতদের অবাস্থলথেকে পর্ণগ্রাফি ভিডিও ও ছবি প্রস্তুতের কাজে ব্যবহৃত ৮ টি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উদ্ধার করেন।
বুধবার ভোর রাত আড়াইটার সময় এ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় অজ্ঞাত আরো ১০/১৫জন পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ ।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন-আভুঙ্গী চরপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া(২৭), শামছুল হকের ছেলে নাজমুল ইসলাম (১৯), মুসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন মিয়া (২৭), হাকিম মিয়ার নাতি আমিরুল ইসলাম (২৪),মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে সানি মিয়া (১৯), গোলাম হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন (২৩), মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ আলম (২৫), বাখুরিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হক (৪০)।
পর্ণগ্র্রাফি আইনে মামলা দায়েরের পর আসামীদের বুধবার(১৮ জানুয়ারী২৩)ইং আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানাযায়, আটক করা ল্যাপটপ/কম্পিউটার থেকে বিপুল পরিমাণ অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এসব অশ্লীল কন্টেন্ট দিয়ে তারা অসাধু উপায়ে টাকা উপার্জন করতো।
গোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক, তারা মিয়া আরিফুল ইসলাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমি মূলত জানতাম এরা সবাই ফ্রিল্যান্সার, এই পরিচয়ের আড়ালে তারা এসব করতো জানতাম না। তবে, এখন শোনা যাচ্ছে পাশের মধুপুর পৌরশহরের কোন এক জায়গায় নাকি এদের প্রধান কর্যালয় রয়েছে। সেখান থেকেই তারা অবৈধ কর্মের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। শুধু তাই নয় এরা রাতের বেলায় এই কাজের ফাকে নেয়া করে ও ব্যবসা করেন। এই চক্ররা রাতের বেলায় বিভিন্ন চুরি সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকেন। এই সমস্ত প্রতারকদের কে প্রশানরে উচিত খুজে বের করে আইনের মাধ্যমে নির্মূল করার জন্য আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান, একটি সাধারণ ডায়রীর তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। মামলা দায়েরের পর আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়, আসামিদের দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী এই চক্রের অন্য সদস্যদের খোঁজা হচ্ছে।
হাফিজুর রহমান।