পঞ্চগড়ে নিয়োগ জালিয়াতি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

মো ;বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে ঘুস জালিয়াতির মামলায় সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে পঞ্চগড় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাইফুল ইসলাম দুলাল পঞ্চগড় সদরের ৮ নম্বর ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
এর আগে, গত বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে এই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন- আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া এলাকার গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে মোছা. ইয়াসমিন (২১), একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২৮), ইয়াসমিনের স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং ভাই সাইদুর রহমান (২৪)। তারা প্রত্যেকেই জামিনে রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. আব্দুল হান্নান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় ইয়াসমিন এবং মৌসুমী উত্তীর্ণ হন। নিয়ম অনুযায়ী তারা ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়। এক পর্যায়ে তাদের লিখতে দেওয়া হয় কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করেন তাদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান- তার ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করাতে সহায়তা করেছেন। পরে ভাইবা বোর্ড কৌশলে সাইদুর এবং মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান- পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয় ইয়াসমিনের চাকরির জন্য।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *