October 18, 2024, 5:31 am
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর গ্রামের গজারিয়া একটি খালের মাছের ঘের নিয়ে দুই পক্ষের মাছের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনায় যেকোনো সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর গ্রামের নামায় গজারিয়া একটি খালে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে রাখা এবং বিভিন্ন প্রজেক্ট ও ব্যক্তির মালিকানা জমিতে স্থানীয় আলী দেওয়ানসহ তার লোকজন প্রথমে ১০জন মাছের ঘের করেন, কিছুদিন ভোগদখল করে রাখার পর নিজেদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে বিবাদ নিয়ে মারপিট এর ঘটনাও ঘটে। এরপর উক্ত খালে সোহেল তালুকদার নামের এক প্রভাবশালী আরও একটি গ্রুপ যোগ হয়ে তাদের দখলে নিয়েছেন মাছের ঘেরটি। এ ব্যাপারে দুই পক্ষ আশুলিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উক্ত ব্যাপারে অভিযোগকারী আলী দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, গজারিয়া খালে কোম্পানি ও বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে তিন বছরের চুক্তিতে জমি লিজ নিয়ে তারা ১০জন অনেক কষ্ট করে মাছের ঘের করেন, এই ঘের পরিচালনার জন্য ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আলী দেওয়ান তার নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স করেন কিছুদিন আগে, এই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে আবার লাইসেন্সটি মেয়াদ বাড়ানো হয় বলে ভুক্তভোগী আলী দেওয়ান জানান। তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে আশুরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ির বাসিন্দা সোহেল তালুকদার ও তার লোকজন এসে সেখানে থাকা লোকজনকে মারপিট করে মাছের ঘেরটি দখল করে নিয়ে ১০জনের ভেতর জাহিদ হাসান জিতু অন্যতম তাকেও জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ভয়-ভীতি পদর্শন করেন তার লোকজন এই ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জিতু।
এ ব্যাপারে বর্তমানে দখলে থাকা সোহেল তালুকদারের লোকজনের মধ্যে নাজিম বলেন, সোহেল তালুকদার এই ঘেরের মালিক, আর আলী দেওয়ান এই ঘেরে কর্মচারী ছিলেন। সে গোপনে ট্রেড লাইসেন্স তার নামে করে এই ঘেরের মালিক দাবী করেছেন। আলী দেওয়ানকে বছর চুক্তিতে কর্মচারী হিসেবে রাখা হয়, সে মাছ বিক্রি করে হিসাব না দেওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। তার সহযোগী নাহিদও হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়। তারা আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছি, এ ব্যাপারে শনিবার বিকেলে থানায় বসার কথা রয়েছে। সোহেল তালুকদারের পক্ষে রনি নামের একজন বলেন, উত্তরণ কোম্পানির ৪০শতাংশ মালিক সোহেল তালুকদার কিন্তু আলী দেওয়ানের এখানে কোনো জমি নেই বলে দাবী করেন। আলী দেওয়ান যে অভিযোগ করছেন এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে রনি জানান।
উক্ত বিষয়ে আশুলিয়া থানার ইন্টেলিজেন্স কার্যক্রম (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান (মিজান) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দুইপক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন থানায়, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে র্যাব জানায়, ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুরের শেষ সীমান্তে উক্ত এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর বসে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সেই সাথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। তদন্ত করে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও র্যাব জানান।