October 18, 2024, 4:15 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
উজিরপুরে মারকাযুল কারীম সামেলা মাজেদ কওমি মাদ্রাসার উদ্যোগে সীরাতুন্নবী সাঃ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সুজানগর পৌরসভার ১৩০ জেলে পরিবার পেলো খাদ্য সহায়তা ইলিশ ধরায় সুজানগরে ২ জেলের কারাদন্ড সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে আ’লীগ বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে- জামায়াত আমীর ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হ*ত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা নড়াইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে করা মানহানি মামলা খারিজ ইউএনও’র ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে ত্রিশাল,হাসি ফুটেছে মানুষের মুখে রাজশাহী-১ আসনে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী তারেক জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে নলছিটিতে ৯০০০ জনকে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে সাবেক কৃষি মন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার হওয়ায় মধুপুর ও ধনবাড়িতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,জাল খারিজে জমি রেজিস্ট্রি ও অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অচেতন ব্যক্তির জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।কর্তৃপক্ষ বলছে এরকম হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
ভুক্তভোগীরা জানান,জমি রেজিস্ট্রি করতে সরকারি রাজস্বের বাইরে দলিল প্রতি এক হাজার টাকা না দিলে কোনো জমি রেজিস্ট্রি হয় না এ অফিসে। শুধু তাই নয় সমেনা খাতুন দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিনের সহযোগিতায় ১২ শতক জমি খারিজ করে ১৬ শতক বিক্রি রেজিস্ট্রি করেছেন যা নিয়ম বহির্ভূত।ঘুষ দিলেই খাজনা খারিজ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি করে দেন সাব রেজিস্ট্রার।এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব হয়রানিতে পড়ছে সাধারন মানুষ।
জানা যায়,গত ৫ ডিসেম্বর সাব-রেজিস্টার মো.মিজানুর রহমান ঢাকায় কমিশনে আটটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য চুক্তি হয় ২ লাখ টাকা,পরে ঢাকায় গিয়ে জমি দাতা অচেতন অবস্থা দেখায় সাব রেজিস্ট্রার আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করবেন না।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেন।জমি কমিশনে রেজিস্ট্রি করতে সাব রেজিস্ট্রার প্রতি কিঃমিঃ ভ্রমনভাতা
১০ টাকা ও তার অফিসের রাজস্ব একজন কর্মচারীর জন্য প্রতি কিঃমিঃ ৬ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে নেয়ায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দলিল লেখক ইসলাম উদ্দিন সরকারের মাধ্যমে জমি বিক্রেতা আফরোজ হোসেন ও মোছা.রোকেয়া খাতুন প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি আটজনের কাছে বিক্রি করে কমিশনে রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল নং ৪৪৪৮ থেকে ৪৪৫৫ পর্যন্ত। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন দলিল লেখক।
ঘুষের টাকা প্রতিটি দলিল লেখককে সরকারি ফিসের সাথে হিসাব করে আলাদা বুঝিয়ে দিতে হয়।সেই অর্থ যায় সাব রেজিস্ট্রারের হাতে। অভিযোগ আছে টাকা না দিলে পদে পদে হয়রানি হতে হয় তাদের।
জমিদাতা আফরোজ হোসেনের তত্বাবধায়ক তাহিরুল ইসলাম জানান,ঢাকায় কমিশনে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে দুই লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরে সাব রেজিস্ট্রার জমি দাতাকে অচেতন দেখায় আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন, না দিলে জমি রেজিষ্ট্রেশন হবেনা।উপায় না পেয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেন, আমরা এখানে অসহায়, আমদের কিছুই করার নাই। আমরা যদি দলিল প্রতি নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা হিসাব করে বুঝিয়ে না দেই। তবে দলিলই গ্রহণ করবেন না।
আটোয়ারী উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকায় গিয়ে কমিশনে কোন জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। আগে থেকেই অর্থ নেয়ার বিষয়টি চালু ছিল, সেটা বন্ধ করলে দলিল লেখকরাই মানছেনা। আমি কি করব।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD