পহেলা পৌষ থেকে শীতে কাবু জনজীবন তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ হিমালয়ের কোলঘেঁষা সর্বউত্তরের জেলা প গড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতে কাবু জনজীবন। ঘন কুয়াশা আর সূর্যের লূকোচুরিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। প্রচ- শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের প্রকোপে অসহায় হয়ে দিনপাত করছে ছিন্নমূল মানুষেরা। দেশের উত্তর জনপদের সর্বশেষ উপজেলা প গড়ের তেঁতুলিয়া। হিমালয়ের অনেক কাছে হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি হয়। কিন্তু এবার যেন শীত একটু বেশি দাপুটে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের তীব্রতা শুরু হলেও মাসের ১৬ ডিসেম্বর পহেলা পৌষের শুরুতেই অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় হাঁড় কাঁপাতে শুরু করেছে এই উপজেলায়। ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। কোনো কোনো দিন আকাশ পরিষ্কার থাকলেও সকালেই মিষ্টি রোদের দেখা মিলছে। আবার কোনো কোনো দিন রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারদিক। সকাল ও রাতে কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে প্রচ- ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে এ জেলায়।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়ায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। প গড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাশেল শাহ্ বলেন, আজ সর্বনি¤œ তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের হিমেল বাতাসে ও কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেছে। যা গতকাল তেঁতুলিয়ায় ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি আরোও বলেন, কয়েকদিন এধরণের আবহাওয়া ধাকতে পারে তবে বলা যাচ্ছেনা আগামীকাল তাপমাত্রা বাড়তেও পারে।

এদিকে, চলতি মাসের শেষের দিকে শীতের দাপট সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে দিনে-রাতে ঠান্ডার দাপট ছিল সমান। কনকনে বাতাসে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শীগের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প গড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *