January 15, 2025, 6:07 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ উন্নত দেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও রাশেদুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফো-রণে দুইজন তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন নজির হোসেন ফাউন্ডেশন নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নলছিটিতে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন থানচিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসবিএম ইট ভাটাকে জরিমানা সার ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা নিহত
ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উৎসবে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উৎসবে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর(পাবনা)ঃ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপন।‘আরে বন্ধু তুই কেমন আছিস?’ দোস্ত তুই কি আমায় ভুলে গেছিস, তোর খবর কী দোস্ত?’ ‘অনেক দিন পর দেখা বন্ধু! আয় আয় সেলফি তুলি’- দীর্ঘদিন পর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এভাবেই চলে কুশলবিনিময়। স্মৃতিচারণ করতে করতে অনেকে ফিরে যান শৈশবের সেই মধুর দিনগুলোয়। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদেও ফেলেন। তারা সবাই সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। শনিবার বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপনের প্রথম দিনে তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সকাল থেকে রাত অবধি উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয় মাঠটি হয়ে উঠেছিল একটি পরিবার,বন্ধুদের আড্ডাখানা আর প্রাণের মেলা। দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের শেষদিন আজ(২৫ ডিসেম্বর)রবিবার। এদিনও সকাল ৯টা থেকে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানটি চলবে রাত পর্যন্ত।প্রাণের এ মেলায় শৈশব-কৈশোরের রং ছড়াতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও সাবেকরা ছুটে এসেছেন। ১৯২০ সালে সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। নিজেদের শৈশবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত বার্ষিকী উৎসব। উৎসবে কে নেই- এমপি, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, চিকিৎসক এককথায় সবাই ছিলেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এসেছেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। ছোটবেলার স্কুলের ক্লাসরুম আর বারান্দায় চোখ বুলিয়ে এ সময় অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। দিনভর চলে আড্ডা, ছবি তোলা, গানের তালেতালে নাচ আর হইহুল্লোর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র(ব্যাচ-১৯৬০) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস কে হাবিবুল্লাহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও প্রাক্তন ছাত্ররা। শতবার্ষিকী উদযাপন আয়োজক কমিটির আহবায়ক পাবনা-আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবিবার সমাপ্ত হবে শতবর্ষ উদযাপন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম সামছুল আলম বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, এ স্কুল থেকে যারা পাস করে গেছেন তারা কাজে লেগেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠিত। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন, সাংবাদিক, ব্যবসাসহ সর্বক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মুহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন,সময়ের সিঁড়ি বেয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গৌরবময় শতবার্ষিকী উদযাপন করছে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র(ব্যাচ-১৯৮৭) ও দৈনিক যুগান্তরের সার্কুলেশন ম্যানেজার সাইদুল হক, আমি গর্ববোধ করি সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হতে পেরে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা করেছি। আমাদের শিক্ষকরাই আমাদের মানুষের মতো মানুষ হয়ে বড় হওয়ার মূলমন্ত্রটি শিখিয়েছেন। প্রাক্তন ছাত্র এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন,আমি আজও আমার সেই দিনের বন্ধুদের ভুলতে পারিনি, চোখের সামনে ভেসে আসে সবকিছু- বলতে বলতে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুস শুকুর(ব্যাচ-১৯৫৪) বলেন, এ বিদ্যালয় আমার গর্বের জায়গা, প্রাণের জায়গা। জীবনে যদি কিছু করতে পারি, পেরেছি তাহলে ভিত্তিটা হচ্ছে এ স্কুল। স্কুলশিক্ষকদের আশীর্বাদেই করতে পারছি। যখন চোখের সামনে সবাইকে দেখছি, সত্যিই প্রাণটা ভরে উঠছে। এ যে কত আনন্দের, খুশির তা বলে বোঝানো যাবে না।প্রাক্তন ছাত্র(ব্যাচ-১৯৬৫) ও বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বকর মিয়া বলেন, জীবনে মেধাবী হওয়ার চেয়ে আদর্শ মানুষ হওয়া জরুরি। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী আদর্শ মানুষ হয়েছে। এ কারণে আমি গর্ববোধ করি। প্রাক্তন ছাত্র(ব্যাচ-১৯৫৪) ও বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) প্রতুল কুমার পোদ্দার বলেন, এ স্কুলের স্মৃতি জীবনে কোনোদিন ভুলতে পারব না, ভোলা যায় না। আমরা যখন সবাই একত্রিত হই তখন মনে হয়, এই বুঝি আমরা আগের বয়সে, আগের জীবনে ফিরে গেলাম।
ুু
এম এ আলিম রিপনং
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD