August 22, 2025, 10:21 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উ-দযাপন কোটালীপাড়ায় ৩২ প্রহরব্যাপী মহানাম য-জ্ঞানুষ্ঠান বীরগঞ্জের দুই বোন মণি ও মুক্তার ১৭ তম জন্মদিন আজ বীরগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ক-র্মী স-ম্মেলন অনুষ্ঠিত সাভারের সন্ত্রা-সী সাব্বির আহমেদ ওরফে সা-ইকো সাব্বিরকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রে-ফতার গোপালগঞ্জে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী এ্যাড আজমল হোসেনের উঠান বৈ-ঠক ও মতবি-নিময় কোটালীপাড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবি-নিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লাতে ছি-তাইকারী স-ন্দেহে যুবককে পি-টিয়ে হ-ত্যা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল সী-মান্তে ৪ বাংলাদেশী আ-টক ধামইরহাটে নারী শি-ক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মো. হানজালা
বিএডিসির কৃষি প্রণোদনার বীজ দেরিতে সরবরাহ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

বিএডিসির কৃষি প্রণোদনার বীজ দেরিতে সরবরাহ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আজমুল হুদা একজন প্রান্তিক কৃষক। তিনি সরকারের কৃষি প্রণোদনার ভুট্টা বীজ নিয়ে প্রতিবছর চাষ করেন। এ বছর ভুট্টা চাষের মৌসুম প্রায় শেষ হলেও কৃষি প্রণোদনার বীজ পাননি। ফলে দোকান থেকে প্রাইভেট কোম্পানীর বীজ কিনে ভুট্টার আবাদ করেছেন। আজমুল হুদার মতো ঝিনাইদহ জেলার হাজারো কৃষক এবার সঠিক সময়ে কৃষি প্রণোদনার ভুট্টা বীজ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগ প্রাইভেট কোম্পানীর বীজের উপর নির্ভরশীলতা ও কোম্পানীর রমরমা ব্যবসা করিয়ে দেবার কারণে হয়তো বিএডিসি এবার বিলম্বে বীজ সরবরাহ করেছে। ঝিনাইদহ কৃষি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ঝিনাইদহ জেলার কৃষকদের হাতে এবার কৃষি প্রণোদনার বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ করা যায়নি। কৃষকরা কোম্পানীর বীজ কিনে চাষ করেছেন। অনেক গরীব কৃষক আবাদ করতে পারেনি। ফলে জেলায় ভুট্টা, সূর্য্যমুখী, গম ও সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৮০ হাজার কৃষককে ১০টি ফসলের প্রণোদনার বীজ প্রদান করা হয়। অন্যান্য বছর কৃষি মন্ত্রনালয় বিএডিসি, গবেষনা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী কোম্পানীর যে কোন একটির কাছ থেকে বীজ কেনার জন্য নির্দেশনা দিয়ে পত্র প্রেরণ করতো। কিন্তু এবার বিএডিসি থেকে বীজ কেনার জন্য বাধ্যতামুলক করে দিলে কৃষি বিভাগ বিএডিসির বীজ নির্ভর হয়ে পড়ে। কৃষি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মৌসুম চলে গেলেও বিএডিসি যথা সময়ে বীজ সরবরাহ করতে পারেনি। বিএডিসির ব্যার্থতার কারণে ঝিনাইদহ জেলায় কৃষি প্রণোদনায় আবাদকৃত ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আজগার আলী খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, বীজ চেয়ে আমরা গত অক্টোবর থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু বিএডিসির কর্মকর্তারা যথা সময়ে বীজ দিতে পারেননি। তারা ফোন ধরেন না। আবার ফোন ধরলেও ঝাড়ি মারে। তিনি বলেন, এ বছর জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪৮ হাজার হেক্টর। যথা সময়ে বিএডিসি গম বীজ দিতে পারেনি বলে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা যায়নি। তিনি বলেন, প্রণোদনার বীজ ছাড়ায় জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সূর্য্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৫ হেক্টর। বীজ না দেওয়ার কারণে মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছে। বিএডিসি থেকে ৫৫৫ কেজি বীজ দেওয়ার কথা ছিল। তিনি আরো জানান, জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৬৭২ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা বাইরে থেকে বীজ কিনে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করেছেন। জেলায় বিএডিসি থেকে ১২ মেট্রিক টন ভুট্টা বীজ সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্ত তারা অসময়ে মাত্র ৫ মেট্রিক টন বীজ দিয়েছে। বাকী বীজ করে আসবে তার হিসাব নেই। কৃষি কর্মকর্তা আজগার আলী হতাশা প্রকাশ করে জানান, বিলম্বে আসা ভুট্টার বীজ কৃষকরা নিয়ে কি করবেন ? নিশ্চয় তারা খৈ ভেজে খাবেন! বিলম্বে প্রণোদনার বীজ সরবরাহ নিয়ে বিএডিসির যশোর অফিসের পরিচালক মোরশেদ আলম জানান, বীজ সরবরাহে আমাদের কোন ব্যার্থতা নেই। কৃষি মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে বিএডিসি ভারত থেকে ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ আমদানী করে থাকে। আমদানীকৃত বীজ আবার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে জেলায় জেলায় সরবরাহ করতে দেরি হয়েছে। এই দেরি বিএডিসির অবহেলা জনিত করণ নয়। তিনি বলেন সুর্য্যমুখী বীজ দেশি প্রজাতির বারী-৩ সময় মতো সরবরাহ করা হয়েছে। আর আমদানীকৃত সূর্য্যমুখীর বীজ ২/১ দিনের মধ্যেই পৌছে যাবে। তাছাড়া অন্যান্য সব বীজ যথা সময়ে সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি কৃষি কর্মকর্তারা একটু বাড়িয়ে বলছেন বলেও পাল্টা অভিযোগ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD