স্ট্যাম্প উদ্ধারের মামলায় আদালত কর্তৃক ৯ বিবাদীদের কে শোকজ

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত বিবাদ মিমাংসার জন্য ডেকে এনে এক পক্ষের কাছে লিখা ছাড়া স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় মামুন গং ভুক্তভোগী এ বিষয়ে ৩ নভেম্বর আটোয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ভুক্তভোগী কায়সার আলম কারণ ৭ই অক্টোবর ২০২১ সালে মীমাংসার জন্য আটোয়ারী মহিলা কলেজে একটি কক্ষে সাজানো নীল নকশা তৈরি করে পূর্ব পরিকল্পিত করে ১০০ টাকার তিনটি ফাকা স্ট্যাম্পে সই নেয় উপায়ান্তর না দেখে খায়রুল ইসলাম তপন ছোট ভাই কায়সার আলম জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলায় হয়রানি শিকার এর মধ্যেই নাটকীয় ঘটনা উক্ত ফাঁকা স্ট্যাম্পের কোর্টে অন্য মামলা একটি ছলেনামা দাখিল করে জানতে পেরে ৯৮ ধারায় পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী কায়সার আলম বাদী হয়ে ৯ জন কে বিবাদী করে মামলা দায়ের করে এবং তৎকালীন বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল সামাদ আজাদকে ফাঁকা স্টাম উদ্ধারের তদন্ত প্রতিবেদনের দায়িত্ব দেয় বলে জানান। কায়সার আলম কিন্তু সেখানেই আবার দেখতে পান শিয়ালের কাছে মুরগি আধীর মত ব্যাপার আব্দুস সামাদ আজাদ চেয়ারম্যান তাদের কাছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
আব্দুস সামাদ আজাদ নামের ওই চেয়ারম্যান আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রতিনিধি তিনি প্রতিবেদক কে জানান কায়সার খুব বাড়াবাড়ি করছে ১০০ বছরও জমিতে যেতে পারবে না।
গ্রাম্য আদালতে ৭৫ হাজার টাকার অধিক কোন মামলার শালিস করার ক্ষমতা না থাকলেও চেয়ারম্যানের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তিন লাখ টাকার মিমাংসাও করেন এই চেয়ারম্যান।
তারা খায়রুল ইসলাম তপন এবং কায়ছার আলম নামের দুই সহোদর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরসহ সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তারা জানান, চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ আজাদ আদালতের একটি মামলার সূত্র ধরে তাদের ডেকে নেন এবং আপোষের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন।
,
অভিযোগকারী কায়ছার আলম বলেন, চেয়ারম্যান তদন্তভার পাওয়ার পর আমাদের দুই ভাইকে ডেকে নেন এবং বিষয়টি সুরাহার জন্য চাপ দেন। এক পর্যায়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে ওই কাগজে আমাদের অগোচরে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আপোষ করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। এটা আমার দৃষ্টিগোচর হলে চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেই ওই মিমাংসা মানবোনা, আপনি ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধারের মামলার তদন্ত করছেন আদালতে সেই প্রতিবেদন দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, সেটা আমার ব্যাপার।
কায়ছার বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বিষয়টিতে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। আমাদেরকে আপোসে সম্মতি দিতেও চাপ দিচ্ছেন তিনি। যেখানে ৭৫ হাজার টাকার অধিক কোন মামলা চেয়ারম্যান নিরসনের ক্ষমতা রাখেনা, সেখান পরিষদে বসে সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার পর তিন লাখ টাকা কিভাবে উল্লেখ করতে পারে আমার বোধগম্য নয়।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ আজাদ। তিনি বলেন, আমি মিমাংসা করে দেইনি। তদন্তের স্বার্থে উভয়পক্ষকে ডাকলে এক পক্ষ আমাকে মিমাংসা হয়েছে মর্মে লেখা একটি কাগজ দেন, আমি সেটা গ্রহণ করি। মিমাংসাপত্রে স্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে আপনার পরিষদ আর আপনি মিমাংসা করে দেননি- জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান সামাদ।
চেয়ারম্যান সামাদ ও মামুন গং পরবর্তীতে দু একজন ইউপি সদস্যদের দিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন কোটে।
কিন্তু ভুক্তভোগী কায়সার আলমের আইনজীবী এডভোকেট ফখরুল ইসলাম তপু কয়েকটি জাতীয় পত্রিকার উদ্ধৃতি তুলে ধরেন পত্রিকার মূল ঘটনা শুনানি করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড়ে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয়ের আব্দুল কাদির অটোয়ারি থানা কর্তৃপক্ষকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন এবং ৯ জন বিবাদীকে শোকজ করেন আগামী ২৯ শে ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে বাদি আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম তপু জানান আমরা বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আস্থাশীল ন্যায়বিচার পাবো ইনশাল্লাহ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *