January 15, 2025, 1:47 pm
আজিজুল ইসলামঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের রিফুজি পাড়ায় জন্ম নেওয়া আদুরী তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়।
ঈশা গাজী ও রহিমা দম্পতির একমাত্র মেয়ে আদুরী। তার বয়স এখন ২৪ বছর।৷ জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সে। এজন্য স্কুলে পড়া হয়নি তার। আদুরীর বয়স যখন ২১ বছর।
তখন প্রতিবেশী ওসমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬) বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আদুরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয় পড়ে আদুরী। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আদুরী এটা সে বুঝতে পারেনি। কিন্তু তার শারীরিক পরিবর্তন মায়ের চোখে ধরা পড়ে। কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিলে ডাক্তাররা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানায় আদুরী ৩ মাসের গর্ভবতী। মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে সে সাইফুলের নাম প্রকাশ করে। আদুরীর পরিবার সাইফুলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে সাইফুল আদুরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। সাইফুলের পিতা ওসমান ধনী বা প্রভাবশালী হওয়ায় আদুরীর পরিবার তাদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি।
ফলে ২০১৯ সালের ১৬ জুন আদুরীর বাবা ঈশা গাজী সাইফুলকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার নং জি আর নাঃ/শিশু ৯৪/১৯। মামলা হওয়ার পর পুলিশ সাইফুলকে আটক করে এবং ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে৷ সে সংসার জরাতে থাকে।৷ এর কয়েকমাস পর আদুরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। তার নাম রাখা হয় আশরাফুল। তখন থেকেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে আদুরীর পরিবার আদালত আর সমাজপতি দের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু আজও আদুরী তার সন্তানের স্বীকৃতি পায়নি।
আদুরীর মা রহিমা বেগম বলেন, মেয়েটাকে পাগল পেয়ে ওসমানের ছেলে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হলে আমরা সাইফুলকে বিয়ের কথা বলি। কিন্তু তারা বড়লোক হওয়ায় আমাদের মেয়েকে বিয়ে করেনি।
অভিযুক্ত সাইফুলের পিতা ওসমান জানান, তারা আমার ছেলের নামে কোর্টে মামলা করেছে। আমরা এই ঘটনা টাকা পয়সা দিয়ে মেটাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা মেটায়নি। এখন কোর্টে যা হবে আমরা সেটা মেনে নেবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি সব জানি। কিন্তু এধরনের কেস মেটানোর এখতিয়ার আমাদের নেই। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা।