February 5, 2025, 7:51 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন চায়-সংস্কার কমিটি জাতি জানতে চায় যেকোনো ব্যক্তির সাথে কারো ছবি থাকলেই কি সে দোষী? নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-নিরব ভূমিকায় প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জালে বিটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধিসহ ইবির দুই শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য দিতে তালবাহানা পাইকগাছায় গোবরের তৈরী শলাকা মেটাচ্ছে জ্বালানীর চাহিদা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহেশপুরে আজগর আলী ভুলুর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত মিমপি রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি হলো মধুপুর পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডে প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত
কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল

কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।

লালমনিরহাট জেলায় কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গরুর হাল।এক সময় গরুর হাল নিয়ে ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে।বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবোগ ও মধ্যবয়সী সহ সবাই গরুর হাল নিয়ে বের হতেন।গরুর হাল নিজের কাজের পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন লোকের জমি চাষের কাজে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন হাল চাষের গাড়ী এলাকা ভরপুর।যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে একমাত্র উৎস রত ঐতিহ্যবাহী গরুর হাল।

সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়,তখনকার সময়ে গরুর হালের লাঙ্গল ও জোয়াল মেরামতের জন্য হাট বাজারে দোকান দিয়ে বসত।এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গরুর হালের লাঙ্গল ও জোয়াল মেরামত করত।কিন্তু এখন আর গরুর হাল ব্যবহার না করার ফলে গরুর হালের মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার গরুর হালে চাষ করেন দেলবার হোসেন,বলেন এক সময় গরুর গাড়ী হাল ছারা জমি চাষ করা যেত না।কিন্তু এখন এলাকায় কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের যনবহন বের হওয়ায় এখন আর গরুর হাল প্রয়োজন হয় না।

শিক্ষক শাহ্ আলম বলেন, আগে প্রতিদিন সকাল হলে দেখা যেতো গরুর হাল ছারা অনন্য কোন জমি ছাষের যন্ত্র পাওয়া যেতনা। কিন্তু এখন ঘরে থেকে বেরহলে পাওয়ার টিলার ট্রাকটর পাওয়া যায় কারণে এখন আর গরুর হাল প্রয়োজন হয় না। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাটের এক গরুর হালের লাঙ্গল জোয়ালের মেকার জানায়,এক সময় নিজের হাতে অনেক গরুর হালের লাঙ্গল জোয়াল মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে বাড়ী বাড়ী লাঙ্গল জোয়াল থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না।এতে মেরামতের কাজ হয় না।যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।তিনি আরও বলেন,সময়ের আবর্তে এক সময় গরুর হাল দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না গরুর হালের ইতিহাস।

হাসমত উল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD