January 15, 2025, 6:38 am
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে গিরাই নদী পুরোপুরি খনন না করেই বিএমডিএর প্রকৌশলীদের যোগসাজশে বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইআইআর প্রকল্প) রংপুর সাকের্লের আওতায় নাগেশ্বরী অফিসের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ ২টি প্রকল্প নাগেশ্বরী পুরাতন পৌর বাজারের রুইয়ারপাড় হতে বোয়ালের দাঁড়া পর্যন্ত গিরাই নদীর দুই কিলোমিটার পুনঃ খনন কাজ ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০২১সালের ডিসেম্বরে মাসে কাজ শুরু করে ২০২২সালের মার্চ মাসের মধ্যে খাল খনন কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও একটির কাজ করে বিল গ্রহন করে কিন্তু অপর একটির কাজ শেষ না করায় তার বিল আটকিয়ে রাখা হয়। সাম্প্রতি সেই অসমাপ্ত প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখেই সহকারী প্রকৌশলী (চঃ দাঃ) মো. আলমগীর কবীর ও ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদ আলীর (মুলপদ সহকারী মেকানিক) যোগসাজশে ২৫লাখ টাকা বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি শেখ পারভেজ এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর ও নাহিদ আলীর সাথে ঠিকাদার প্রতিনিধি চুক্তিবদ্ধ হয়ে খাল খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রতিবেদন দেয় এবং সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রংপুর সার্কেলের (ইআইআর) প্রকল্প পরিচালক ঠিকাদারকে বিলের চেক প্রদান করে। গিরাই খালটির অর্ধেক খনন করায় এটি কোনো কাজেই আসছে না। বিলের বাধঁ ভাঙ্গাসহ বিলের গভীরতা না থাকায় একদিকে চাষাবাদে পানি সংকট ও অন্যদিকে কৃষিপণ্য আনা- নেওয়ায় ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ চাষি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, নামমাত্র গিরাই নদী খনন করায় কোন উপকারে আসবেনা আমাদের। ঠিকাদার মেশিনপত্র নিয়ে সরে পড়েন।
মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ (নওগাঁ) প্রতিনিধি শেখ পারভেজ জানান, আমরা গিরাই নদীর কাজ খনন শেষ করে বিল উত্তোলন করেছি।
নাগেশ্বরী বিএমডিএর সহকারী মেকানিক, সহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে কাজ দেখে রংপুরে বিলের জন্য প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং রংপুর সার্কেলের (ইআইআর) প্রকল্প পরিচালক আমাকে বিলের চেক দিয়েছেন।
অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খানের মৌখিক নির্দেশে ১৪নং গ্রেডভুক্ত কর্মচারী নাহিদ আলীকে অপকর্মের উদ্দেশ্যে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নাহিদ আলী তার পূর্বের কর্মস্থলগুলোতে একইভাবে অপকর্মে জড়িত থাকারো তথ্য পাওয়া গেছে।
নাগেশ্বরী বিএমডিএর সহকারী মেকানিক নাহিদ আলী (উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত) বলেন, সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর বলতে পারবেন।
নাগেশ্বরী বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর জানান, আমি কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলার দায়িত্বরত। এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা কথা বলবো।
বিএমডিএর কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিননুরাইন খান বলেন, আমি অসুস্থ আছি। কথা বলতে পারছি না।
বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রংপুর সার্কেলের (ইআইআর) প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জাহান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, তদন্ত টিম গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।